কেরল যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বর্ষার মরসুমেই পাড়ি দিন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে মালাবার উপকূল জুড়ে গড়ে ওঠা এই রাজ্যটি ভারতের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম নাম। আরব সাগরের ঢেউ, সবুজ চা-বাগান, পর্বত, উচ্ছল ঝরনা, গ্রামজীবন, কফি ও মশলা বাগান, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও স্পা— এত সৌন্দর্য সমৃদ্ধ, যেন স্বর্গের দেশ কেরল।
কেরলের রাস্তাঘাট খুবই উন্নত ও পরিচ্ছন্ন। দ্রাবিড়ীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ কেরল যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস। তবে বর্ষায় গেলেও কিন্তু কম কিছু উপভোগ করবেন না। বৃষ্টির পরশে আরও স্নিগ্ধ ও সুন্দর হয়ে ওঠে ‘নারকেলের দেশ’। কেরল যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বর্ষার মরসুমেই পাড়ি দিন। ৫-৭ দিনে পুরো কেরল ঘুরে ফেলা সম্ভব নয়। কেরলের কিছু কিছু স্থান রয়েছে যেগুলি না দেখলেই নয়। কম সময়ের জন্যে সেই জায়গাগুলিতে না গেলে অনেক কিছুই অদেখা রয়ে যাবে।
১) ফোকলোর মিউজিয়াম
কেরলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মিশেলে তৈরি নানা হস্তশিল্পের সম্ভারে সাজানো এই সংগ্রহশালাটি দেখলে তাক লেগে যাবে। কাঠের আসবাব, ঘর সাজানোর টুকিটাকি, অভিজাত পোশাক ও অলঙ্কার, বাদ্যযন্ত্র— সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যটাই যেন এক ছাদের তলায় এসে হাজির হয়েছে।
২) ভাস্কো-দ্য-গামার বাসস্থান
বহু কালের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছ পর্তুগিজ বণিক ভাস্কো-দ্য-গামার বাসস্থানটি। তাঁর আগমনের সময়কাল ছিল ১৫০২ সাল। পাশেই রয়েছে ভারতের প্রাচীনতম সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ। ১৫২৪ সালে এই চার্চেই ভাস্কো-দ্য-গামাকে সমাধিস্থ করা হয়। তবে ১৪ বছর পর সেই কফিনটি অবশ্য তুলে নেওয়া হয় পর্তুগলে।
৩) আথিরাপল্লি জলপ্রপাত
‘রাবণ’ ছবির কিছু অংশের শ্যুটিং হয় এখানেই। পশ্চিমঘাট পর্বতের চালাকুড়ি নদী ৮২ ফুট উপর থেকে প্রবল গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে নীচে। বর্ষায় এই জলপ্রপাত আরও বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে।
৪) মাত্তানচেরি প্যালেস
একে অনেকে ‘ডাচ প্যালেস’ নামেও চেনেন। নজরকাড়া কাঠের কারুকাজ, রামায়ণ-মহাভারত ও পৌরাণিক উপাখ্যানে চিত্রিত দেওয়াল যে কারও নজর কাড়বে।
৫) চেরাই সমুদ্রসৈকত
সোনালি এই বেলাভূমিতে মূলত বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। কখনও কখনও দেখা মেলে ডলফিনের। সঙ্গে সমুদ্রস্নান তো রয়েছেই। চাঁদের আলো সৈকতের গায়ে আছড়ে পড়া দেখতে চাইলে সেখানে রাত্রিবাসও করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy