কেদারনাথ যাত্রা সহজ হবে কী ভাবে? ছবি- সংগৃহীত
যাঁরা তীর্থ করতে ভালবাসেন তাঁদের কাছে তো বটেই, ট্রেকিং করেন যাঁরা, তাঁদের কাছেও কেদারনাথ ভ্রমণ স্বপ্নের মতো। চারধামের মধ্যে অন্যতম হল কেদারনাথ মন্দির। তবে দুগর্ম এই পাহাড়ি পথ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। সমতলের এক রকম আবহাওয়া ছেড়ে দুম করে এত উঁচুতে উঠতে গেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে বয়স্কদের। তীর্থযাত্রীরা অনেক সময়ে পায়ে হেঁটেও যাত্রা করেন। সমতল রাস্তায় আধ ঘণ্টা হাঁটা এবং পাহাড়ি এলাকায় হাঁটার অভিঘাত কিন্তু এক রকম নয়। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সরকারি তরফেও তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে নানা রকম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাই যাত্রা শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া
সমতল থেকে ওই উচ্চতায় যাত্রা শুরু করার আগে শরীরকে সেই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুবিধার জন্য হাতে বেশ কিছু দিন সময় নিয়ে ধাপে ধাপে পাহাড়ে উঠুন।
২) বেশি জিনিস না নেওয়া
যেখানেই ঘুরতে যান না কেন, সঙ্গে বেশি জিনিসপত্র নেবেন না। ট্রেক করা বা হেঁটে পাহাড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩) শীত-পোশাক
কেদারনাথে সারা বছরই ঠান্ডা থাকে। তাই যাওয়ার আগে আগামী ১০ দিনের তাপমাত্রা সম্পর্কে ভাল করে পড়াশোনা করে, সেই অনুযায়ী পোশাক নিয়ে তবেই যাত্রা শুরু করবেন।
৪) প্রয়োজনীয় ওষুধ
সরকারি সাহায্য কেন্দ্রে তীর্থযাত্রীদের জন্য জীবনদায়ী ওষুধপত্র মজুত থাকে। তবে যাঁদের নিয়মিত রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো রোগের ওষুধ খেতে হয়, তাঁরা সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলারও রাখতে হবে।
৫) শুকনো খাবার
ওই ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর গরম রাখতে এমন খাবার সঙ্গে রাখতে হবে, যা খেলে গা গরম থাকে। এ ছাড়াও শুকনো ফল, প্রোটিন বার, বিস্কুট, চিঁড়ে, মুড়ির মতো কিছু খাবারও সঙ্গে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy