ক্লাসে বসে ল্যাপটপে দুষ্টু ভিডিয়ো দেখছিলেন শিক্ষক। তাঁর খেয়াল ছিল না ল্যাপটপের সঙ্গে প্রজেক্টরটি যোগ করা রয়েছে। তাঁর অজান্তেই সেই সমস্ত ভিডিয়ো চলতে শুরু করে দেওয়ালে থাকা স্ক্রিনে। কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে যায় ক্লাসে থাকা ১২- ১৪ বছর বয়সি ছাত্রেরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ কী ঘটছে তা রেকর্ড করার জন্য তাদের ফোন বার করে। আবার কেউ কেউ কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা বুঝতে না পেরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার একটি স্কুলে। ৬২ বছর বয়সি পদার্থবিদ্যার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
‘দ্য মেট্রো’র প্রতিবেদন অনুসারে এই ঘটনার ভিডিয়োটি দ্রুত রাশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও বাশকোর্তোস্তান অঞ্চলে অবস্থিত স্কুলটি অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তাঁকে বরখাস্ত বা নিলম্বিত করা হবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বস্তুত বিষয়টিকে সে ভাবে পাত্তাই দেয়নি স্কুল।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রাজিফ নুরগালিয়েভ। নেফতেকামস্ক শহরের কাছে তাশকিনোভো গ্রামে থাকেন তিনি। প্রায় চার দশক ধরে তিনি ওই স্কুলে পড়াচ্ছেন। এলাকায় সুনামও রয়েছে তাঁর। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা রুদানিয়া বুরখানোভা পোডেম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে তিনি অভিজ্ঞ শিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ভিডিয়োটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষক মর্মাহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর এক জন সহকর্মী অনুমান করেছেন, ক্লাসের ছাত্রেরা তাঁকে উস্কানি দিয়ে থাকতে পারে। স্কুলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই শিক্ষক সাধারণত প্রজেক্টর ব্যবহার করেন না। ছাত্ররা তাঁর সঙ্গে মজা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।