ফিরে এল ল্যান্ডলাইন ফোনের যুগ। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এক তরুণী। বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ করেই ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহার করার কথা মাথায় আসে তাঁর। ব্যস, তাতেই কেল্লা ফতে। তাঁর ফোনের প্রযুক্তি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে যায় যে মাত্র তিন দিনের মধ্যে এক কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন আমেরিকার বাসিন্দা প্রযুক্তিবিদ ওই তরুণী!
আরও পড়ুন:
ক্রমাগত স্মার্টফোন ব্যবহারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ক্যাট গোয়েৎজ়ে নামের ওই তরুণী। সমাজমাধ্যমে তিনি ‘ক্যাটজিপিটি’ নামে পরিচিত। পুরনো দিনের মতো নম্বর ঘুরিয়ে ফোনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজতে গিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করে ফেলেন তিনি। ল্যান্ডলাইনে ফোন করার জন্য একটি নতুন নম্বর এবং টেলিফোনের সংযোগের প্রয়োজন ছিল। পুরনো একটি গোলাপি হ্যান্ডসেটের সঙ্গে ব্লুটুথ সংযোগ করে দিব্যি কথাবার্তা চালাতে শুরু করেন ক্যাট।
২০২৫ সালের জুলাই মাসে, তিনি অনলাইনে তাঁর যন্ত্রটিকে প্রকাশ্যে আনেন। অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। শয়ে শয়ে নেটাগরিক জানান তাঁরা সেটি কিনতে চান। ফলে তিনি অনলাইন একটি দোকানই চালু করে ফেলেন। ১৫-২০টি অর্ডারও চলে আসে তাঁর কাছে।
অক্টোবরের শেষে ‘ফিজ়িক্যাল ফোন’ নামে পরিচিত সেই ল্যান্ডলাইন ফোনটি ৩০০০ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। ক্যাটের মোট আয় আড়াই কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র তিন দিনেই তাঁর আয় হয়েছে এক কোটি টাকা। পাঁচটি মডেলে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি ফোনের দাম রাখা হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ ডলার। ক্যাট জানান, ফোনটিকে ব্লুটুথের মাধ্যমে আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। হোয়াট্সঅ্যাপ, ফেসটাইম, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোন এলেও তা বাজতে থাকে। তিনি এ-ও জানান যে, কোনও নম্বরে ফোন করতে চাইলে নম্বরগুলি ডায়াল করে অথবা ফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সক্রিয় করে স্টার (*) বোতাম টিপে ফোন করা যেতে পারে।