‘‘আমি তাকে খুব ভাল করে চিনি। ঝগড়ুটে একটি মানুষ। গালিগালাজ করা তাঁর স্বভাব।’’ এক ব্যক্তির চারিত্রিক শংসাপত্র দিতে গিয়ে এমনটাই লিখে বসলেন গ্রামপ্রধান। সরকারি চাকরি বা প্রশাসনিক কোনও কাজে চারিত্রিক শংসাপত্রের প্রয়োজন হয়। শহরাঞ্চলে কাউন্সিলার এবং গ্রামাঞ্চলে গ্রামপ্রধানই সাধারণত এই শংসাপত্র দিয়ে থাকেন। কোনও ব্যক্তির আচার-আচরণ কেমন তার প্রমাণস্বরূপ এই নথিটি ব্যবহার করা হয়। তেমনই একটি শংসাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও এই নথিটি দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হাসির রোল উঠেছে নেটাগরিকদের মধ্যে। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে শংসাপত্রটি রাজস্থানের দৌসা জেলার জয়সিংপুরা গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞানচন্দ্র বৈরওয়াকে দেওয়া হয়েছিল। ২০ জুলাই, ২০১৯ তারিখে গ্রামের প্রধানের স্বাক্ষর দেওয়া রয়েছে তাতে। শংসাপত্রের শেষের কয়েক লাইনে বিরূপ কিছু মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ছবিতে দেখা গিয়েছে। সরকারি সিলমোহরও রয়েছে তাতে। জ্ঞানচন্দ্রের প্রতি গ্রামপ্রধানের বিরূপ মনোভাবের কারণ কী, তা জানতে উৎসুক নেটাগরিকেরা। তাঁরা মনে করছেন, গ্রামপ্রধানের এই নেতিবাচক মন্তব্যের নেপথ্যে থাকা কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে এই শংসাপত্রটি জ্ঞানচন্দ্রের ভবিষ্যৎ জটিল করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন:
এক্স হ্যান্ডলে এমআরসঞ্জয়সেনেগার নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ এটিকে হাস্যকর বলে মনে করলেও, অন্যেরা গ্রামের প্রধান এবং জ্ঞানচন্দ্রের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া করেছেন। পোস্টটিতে নানা রকমের মজার মজার মন্তব্য জমা পড়েছে। এক জন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন: “আপনার সেরা বন্ধু যখন গ্রামপ্রধান হন তখন এমনই হয়।” অন্য এক জনের মন্তব্য, “অবশেষে, একটি সৎ চরিত্রের শংসাপত্র!”