দিদির বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত ছিল বোনের। সেই থেকে জামাইবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দু’জনের। সেই সম্পর্কে কথা টের পান দিদি। আর তার পরই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন যা দেখে অবাক হয়েছেন তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনেরা। বোনের ভালবাসাকে পরিণতি দিতে নিজের পরিবার ভেঙে দিতে দু’বার ভাবেননি তিনি। একটি পোস্ট ভাইরাল হতেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বোনের প্রতি দিদির সেই ভালবাসার কাহিনি। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি দিল্লির একটি পারিবারিক আদালতের।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, আইনজীবী সন্দীপ বর্মা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এক তরুণীর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি স্বেচ্ছায় নিজের বিয়ে ভেঙে ফেলেছিলেন, যাতে তাঁর ছোট বোন তাঁরই স্বামীর সঙ্গে নতুন জীবন গড়তে পারে। সন্দীপ পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন, তাঁর কাছে এসে এক দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন। স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দেওয়ার পর তাঁর সামনেই দ্বিতীয় বিয়ে সেরে নেন স্বামী। পাত্রী প্রাক্তন স্ত্রীর বোন। অর্থাৎ, শ্যালিকাকে সেই দিনই বিয়ে করে ফেলেন জামাইবাবু।
আইনজীবী যখন প্রথম দম্পতির মুখ থেকে এই ধরনের অনুরোধ শুনেছিলেন, তখন তিনিও হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি বোঝার পর তিনি বিবাহবিচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় বিবাহ উভয়ই পরিচালনা করেন। এই মামলাটির কথা তিনি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন। সন্দীপ জানিয়েছেন, এই দম্পতি বহু বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন। এমনকি তাঁদের একটি ছেলেও আছে। বিয়ের পর শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানার পর কোনও শোরগোল করেননি ওই তরুণী। উল্টে বোন ও স্বামীর প্রেমের পথ প্রশস্ত করতে অদ্ভুত এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছোট বোনকে তার স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বোনকে বিয়ের জন্য সাজিয়ে-গুছিয়ে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন দিদি। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ তা দেখেছেন। তরুণীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকেরা।