বয়ামে বাতকর্ম এবং বক্ষবিভাজিকার ঘাম বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের দাবি করে প্রচারে এসেছিলেন। এ বার নিরাপত্তার অভাবে আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানালেন নেটপ্রভাবী তথা প্রাক্তন রিয়্যালিটি শো তারকা স্টেফানি ম্যাটো। এক সময় বয়ামে ভরে তাঁর বাতকর্ম এবং ঘাম বিক্রির জন্য বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন স্টেফানি। এ বার নিরাপত্তার অভাবে আমেরিকা ছাড়ার কথা বলে হইচই ফেলেছেন তিনি। কিন্তু কেন আমেরিকা ছাড়ার কথা জানালেন স্টেফানি?
আরও পড়ুন:
নেটপ্রভাবী জানিয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার এক সেনেটরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে। এর পর চলতি মাসের শুরুতে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় স্টেফানি জানিয়েছেন, বিচ্ছেদের পর তিনি আর সে দেশে নিরাপদ বোধ করছেন না। তিনি চেক প্রজাতন্ত্রে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এর আগে স্টেফানি যখন আমেরিকার সেনেটরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তখন অনেকেই তাঁর দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার অন্যতম কারণ ছিল, প্রেমিকের কোনও নাম বা পরিচয় না জানানো। কিন্তু পরে তাঁর প্রেমিক কে তা নিয়ে বিভিন্ন ইঙ্গিত দেন তিনি। স্টেফানির দাবি, তার পরেই বিচ্ছেদ হয় তাঁর। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। সম্পর্কের প্রমাণ মুছে দেওয়ার জন্য তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক একটি সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্টেফানি দাবি করেছেন, আইনি চিঠিও পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন:
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে স্টেফানি বলেন, ‘‘এক জন মার্কিন সেনেটরের সঙ্গে আমার সম্পর্কের প্রতিক্রিয়ায় এটিই আমার শেষ ভিডিয়ো।’’ সেই ভিডিয়োয় ম্যাটো জানিয়েছেন, গত দেড় বছর ধরে আমেরিকার ওই সেনেটরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। তাঁদের প্রেম চলত অনলাইনে। কিন্তু আমেরিকার নির্বাচনের সময় তিনি তাঁর প্রেমিকের নাম প্রায় ফাঁস করে দিচ্ছিলেন। সে কারণে প্রেমিক তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেন। পরে বিচ্ছেদও হয়। আর তার পর থেকেই শুরু হয় হুমকি দেওয়া। স্টেফানির কথায়, ‘‘সত্যি বলতে, নির্বাচনের সময় আমি প্রেমিকের নাম ফাঁস করে দিচ্ছিলাম আর একটু হলেই। আমি আমার জীবন এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য চিন্তিত ছিলাম। তাই কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তা দেখার জন্য নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন:
কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল দেখার পর তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন বলেই জানিয়েছেন স্টেফানি। তিনি বলেন, ‘‘আগামী এক মাসের মধ্যে আমি চেক প্রজাতন্ত্রে যাব এবং কিছু বিকল্প জীবনযাত্রার চেষ্টা করব। আমেরিকায় আমি এখন আর নিরাপদ বোধ করছি না।’’ স্টেফানি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের নাম উল্লেখ না করলেও সমাজমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন যে তিনি ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের সঙ্গে যুক্ত। অনেকে আবার স্টেফানির দাবিকে ‘গাঁজাখুরি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।