এক বছরের মধ্যে দু’বার সংস্থার নিয়মকানুন বদলে ফেলেছেন। কর্মীছাঁটাইও হয়েছে প্রচুর। পরিস্থিতি দেখে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ডুবে গিয়েছিলেন তরুণী। ভাগ্যক্রমে ছাঁটাইয়ের সময় তিনি বেঁচে গেলেও পরের বার হয়তো তাঁর ভাগ্য সহায় না-ও হতে পারে। তাই অন্যত্র কাজ খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে সে কথা জানিয়েওছিলেন তরুণী। কিন্তু তাঁর সমাজমাধ্যমে যে সব সময় বস্ নজরদারি চালাতে পারেন, সে কথা কল্পনাও করতে পারেননি তরুণী।
অধস্তন কর্মী অন্য জায়গায় কাজ করতে ইচ্ছুক তা জানতে পেরে তরুণীর প্রতি বেজায় চটে গিয়েছেন তাঁর বস্। এমনকি, অফিসের মধ্যে তরুণীর জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছেন সেই ঊর্ধ্বতন। সমাজমাধ্যমে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার ব্যাপারে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক তরুণী তাঁর পেশাগত জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তরুণীর দাবি, ১৩ মাসের মধ্যে তাঁর বস্ দু’বার সংস্থার নিয়মকানুন বদল করেছেন। এমনকি, কর্মীছাঁটাইও করেছেন তিনি। আগে সংস্থায় ৫০ জন কর্মী ছিলেন। ছাঁটাইয়ের পর মাত্র সাত জন কর্মী রয়েছেন অফিসে।
Height of targeting by boss because I opened myself for work on LinkedIn
byu/cookdooku inIndianWorkplace
কর্মজীবনে অনিশ্চয়তার আভাস পেয়ে অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজতে শুরু করেন তরুণী। চাকরির সন্ধান দেওয়ার অনলাইন মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তরুণীর। সেখানে নতুন চাকরি খোঁজার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু আড়াল থেকে তরুণীর অ্যাকাউন্টে নাকি নজর রাখছিলেন তাঁর বস্। তরুণীর দাবি, চাকরি পাওয়ার প্রথম দিনেই সমাজমাধ্যমে প্রায় সকল কর্মচারীর সঙ্গে ভাব পাতিয়ে ফেলেছিলেন তাঁর বস্। সৌজন্যের খাতিরে বস্কে সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দিতেও পারেননি তরুণী।
আরও পড়ুন:
অগত্যা বসের নজরেই পড়তে হয় তাঁকে। তরুণী অন্যত্র চাকরি খুঁজেছেন জানতে পেরে তাঁর প্রতি রুষ্ট হন বস্। তরুণীর দাবি, আগে তিনি বসের প্রিয় পাত্রী ছিলেন। মাঝেমধ্যে অফিসের গোপন খবরও তাঁকে জানাতেন বস্। কিন্তু বিগত কয়েক দিন থেকে অফিসে যেন তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তরুণী সঠিক সময়ে অফিসে যান। সঠিক সময়ে অফিসের কাজকর্ম করে বেরিয়ে যান তিনি।
তবুও তাঁর বসের অভিযোগ, অধস্তন মন দিয়ে ন’ঘণ্টা কাজ করছেন না। কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন। তা ছাড়াও তরুণীকে নাকি বেতনও সঠিক সময়ে দিচ্ছেন না তিনি। তরুণীর দাবি, অফিসের প্রত্যেক সহকর্মী নির্ধারিত দিনে বেতন পেয়ে যান। তিনি নাকি তার দু’দিন পর বেতন পান।