সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের কাছ থেকে স্তন্যদুগ্ধ কিনে পান করেছিলেন! সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কে জড়ালেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক জন নেটপ্রভাবী। ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিপিন্সে। দক্ষিণ কোরীয় ওই নেটপ্রভাবী ফিলিপিন্সেই বসবাস করেন। গত ৯ মে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ওই নেটপ্রভাবীর কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আট বছরেরও বেশি সময় ধরে নেটপ্রভাবী হিসাবে কাজ করেন ২৬ বছর বয়সি ওই তরুণ। সমাজমাধ্যমে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। বিগত কয়েক বছরে চার হাজারেরও বেশি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন তরুণ। এর মধ্যে ৩০টিরও বেশি ভিডিয়োয় তাঁকে ফিলিপিন্সের সদ্য মা হওয়া মহিলাদের কাছ থেকে স্তন্যদুগ্ধ কিনে তা পান করতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্কে জড়ান তিনি। ভিডিয়োগুলিতে ওই তরুণকে ফিলিপিন্সের রাস্তায় ৯ ডলারের বিনিময়ে মাতৃদুগ্ধ কিনতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও ভিডিয়োয় তাঁকে স্তন্যদুগ্ধ কেনার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি পান করতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও ভিডিয়োয় আবার মদের সঙ্গে সেই দুধ মিশিয়ে খেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভিডিয়োগুলিতে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করা মায়েদের মুখ প্রকাশ্যে আনার কারণেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তরুণ। ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ফিলিপিন্সের সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন:
যদিও তিনি কোনও অন্যায় করেছেন বলে মানতে রাজি নন ওই নেটপ্রভাবী। টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে সান্তা ক্লজ়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। ভিডিয়ো তৈরি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্থানীয়দের সাহায্য করার দাবিও করেছেন। নেটপ্রভাবী তরুণ এ-ও দাবি করেছেন যে, তাঁর কর্মকাণ্ডের পিছনে কোনও যৌন উদ্দেশ্য ছিল না। স্বাস্থ্যগত কারণেই স্তন্যদুগ্ধ কিনে তা পান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সোল মেট্রোপলিটন পুলিশের আন্তর্জাতিক অপরাধদমন শাখার প্রাক্তন প্রধান কিম ইউন-বে নেটপ্রভাবীর যুক্তির তীব্র নিন্দা করেছেন। কিমের কথায়, ‘‘মা এবং সন্তান— উভয়েরই মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন তরুণ। বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ কোরিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।”
সমাজমাধ্যমেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেটপ্রভাবী। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘দারিদ্র নিয়ে রসিকতা এবং উপহাস করার চেষ্টা। নেটপ্রভাবীকে শাস্তি দেওয়া হোক।”