Advertisement
E-Paper

অক্সফোর্ডে পড়াশোনা, দু’টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, গবেষণাও করেছেন, তার পরেও ‘ডেলিভারি বয়’-এর কাজ করতে হচ্ছে যুবককে!

৩৯ বছর বয়সি ডিং এমন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী, যা অনেক মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, নানয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি এবং অক্সফোর্ডের ডিগ্রি রয়েছে তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১০
Man with Oxford University degree, PhD working as delivery boy in China

—প্রতীকী ছবি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। রয়েছে দু’টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পিএইচডিও করেছেন। কিন্তু এত ডিগ্রিধারী হয়েও চাকরি পাননি। সংসার চালাতে লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাবার পৌঁছে দেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিয়তির পরিহাসে চিনা যুবক ডিং এখন ‘ডেলিভারি বয়’।

৩৯ বছর বয়সি ডিং এমন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী, যা অনেক মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, নানয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি এবং অক্সফোর্ডের ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। কিন্তু তা সত্ত্বেও চাকরি জোটেনি। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রথমে সিঙ্গাপুরে এবং এখন চিনে খাবার সরবরাহকারী কর্মী হিসাবে কাজ করেন তিনি।

কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল ডিংকে? সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা শেষ করার পর প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছু হয়নি তাঁর জীবনে। ২০২৪ সালে পিএইচডি পরবর্তী গবেষণা শেষ করে চাকরির জন্য একের পর এক সংস্থায় আবেদন করেন ডিং। একাধিক সিভি পাঠান। ১০টির বেশি ইন্টারভিউয়েও ডাক পান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সংস্থা থেকেই চাকরির প্রস্তাব পাননি।

ডেলিভারি বয় ডিং।

ডেলিভারি বয় ডিং। ছবি: সংগৃহীত।

অনেক অপেক্ষা করার পরে শেষমেশ হাল ছেড়ে দেন ডিং। ঋণশোধ এবং পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সিঙ্গাপুরে খাদ্য সরবরাহকারী কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন। শুরুর দিকে প্রতি দিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে তাঁকে। প্রতি সপ্তাহে আয় করতেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। খাদ্য সরবরাহকারী কর্মী হিসাবে দীর্ঘ দিন সিঙ্গাপুরে কাজ করার পর চিনে চলে যান ডিং। সেখানে ‘ডেলিভারি বয়’ হিসাবে কাজ শুরু করেন।

এত শিক্ষিত হয়েও বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চাকরি! আফসোস হয় না? উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে ডিং বলেছেন, ‘‘এটা ভাল কাজ। এই আয় দিয়ে আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে পারি। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন, তা হলে আপনি একটি ভাল জীবন যাপন করতে পারবেন। কোনও কাজই ছোট হয় না।’’

ডিংয়ের কাহিনি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। যুবকের পরিণতির কথা ভেবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অনেকে। অনেকেই বর্তমান যুগে শিক্ষাব্যবস্থা এবং চাকরির বাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Delivery Boy China PHD
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy