Advertisement
E-Paper

ছুটির দিনেও কর্মীর কাজের হিসাব চাইলেন ঊর্ধ্বতন! পরিবারের অনুষ্ঠান ছেড়ে কাজে বসতে বাধ্য করলেন বস্

সপ্তাহান্তে দু’দিন ছুটি পান তরুণ। সেই দু’দিন নিজের মতো সময় কাটাতে চান তিনি। অফিসের কোনও কাজ করতে চান না। কিন্তু অধিকাংশ সময় তাঁকে ছুটির দিনেও বাড়ি থেকে কাজে বসতে হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২২

—প্রতীকী ছবি।

সোম থেকে শুক্রবার— সপ্তাহের এই পাঁচ দিন অফিস থাকে তরুণের। সপ্তাহান্তে দু’দিন ছুটি পান তিনি। কিন্তু ছুটির দিনেও ছুটি কাটাতে পারলেন না তরুণ। পরিবারের অনুষ্ঠান ছেড়ে তাঁকে রবিবারেও কাজে বসার নির্দেশ দিলেন সংস্থার ঊর্ধ্বতন। সংস্থার এমন অস্বাস্থ্যকর কর্মনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে সমাজমাধ্যমের পাতায় পুরো ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন তরুণ। সংস্থার নামোল্লেখ না করেই পোস্ট করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে সংস্থার নাম উল্লেখ না করে সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তরুণ জানান যে, সপ্তাহান্তে দু’দিন ছুটি পান তিনি। সেই দু’দিন নিজের মতো সময় কাটাতে চান তরুণ। অফিসের কোনও কাজ করতে চান না তিনি। কিন্তু অধিকাংশ সময় তাঁকে ছুটির দিনেও বাড়ি থেকে কাজে বসতে হয়।

তরুণের অভিযোগ, শনিবার তাঁদের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই উপলক্ষে আত্মীয়-পরিজনেরা সকলে এসেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর কথা ভেবেছিলেন তরুণ। রবিবারেও তাঁদের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন তরুণের ঊর্ধ্বতন।

তরুণের অভিযোগ, তাঁর ম্যানেজার শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে কয়েকটি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাতে বলেছিলেন। তরুণ জানান যে, তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠানে রয়েছেন। তাই অফিসের কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তা শুনে অধস্তনের উপর রেগে যান তাঁর ম্যানেজার। তরুণ যে ছুটির দিনে অফিসের কাজ করতে পারবেন না তা জানতে পেরেই তরুণের কাছ থেকে সারা দিনের হিসাব চাইতে শুরু করেন তাঁর বস্।

তরুণ কখন অনুষ্ঠান থেকে ফিরবেন সে কথা বার বার জিজ্ঞাসা করতে থাকেন তিনি। অধস্তন স্পষ্ট করে জানান যে, পরিবারের সকল সদস্যকে তিনি আগে নিজের পরিস্থিতির কথা জানাবেন। তাঁকে যে হঠাৎ অফিসের কাজের জন্য অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতে হচ্ছে সে কথা জানিয়ে, তবেই তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন।

দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাড়ি পৌঁছে তিনি কাজে বসতে পারেন, এমনটাই ঊর্ধ্বতনকে জানান তরুণ। অনুষ্ঠান ছেড়ে বাড়ি পৌঁছে বস্‌কে জানান তিনি। তখন তরুণকে তাঁর ঊর্ধ্বতন বলেন, ‘‘তুমি যে সপ্তাহান্তে বাড়ি থাকবে না, সে কথা আমায় আগে জানাতে পারতে। তা হলে আমি এই কাজ রাখতাম না। পরে কোনও এক দিন করা যেত। আমি জানি না বলেই তোমায় কাজ করতে বলেছিলাম।’’

তরুণের দাবি, ছুটির দিনে তিনি কী করবেন তা অযথা ঊর্ধ্বতনকে জানানোর কোনও প্রয়োজন পড়ে না। ছুটির দিনে তিনি ছুটিই কাটাতে চান। কিন্তু অফিসের ঊর্ধ্বতনেরা এই কর্মনীতি মেনে চলেন না। সংস্থার প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি নেটাগরিকদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। তরুণ চাকরি ছাড়তে চান না। তার পরিবর্তে আর কোনও উপায়ে এই সমস্যা দূর করা যায় কি না, সেই পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।

এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আপনাকে যদি ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়, তা হলে বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অফিসে জানান। ছুটির দিনে কাজ করলে অন্য এক দিন ছুটি নিতে পারেন।’’ আবার এক জন তরুণকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আপনার চারপাশে একটি অদৃশ্য গণ্ডি কেটে নিন, যা অতিক্রম করে কর্মক্ষেত্রের কেউ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে যেন ঢুকে না পড়তে পারেন।’’

Bizarre Workplace Culture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy