এ ভাবেই গান গেয়ে সতর্ক করছেন দমকল কর্মীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
কলকাতা পুলিশের মতোই করোনা নিয়ে প্রচারে গান গেয়ে মাতালেন ক্যানিংয়ের দমকল কর্মীরা। রবিবার দুপুরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালকে ব্লিচিং ও রাসায়নিক দিয়ে দূষণমুক্ত করেন তাঁরা। গান গেয়ে সচেতনতার বার্তাও দেন।
এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ আট সদস্যের দমকল কর্মীদের একটি দল আসে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের বাইরের সমস্ত এলাকাকে তাঁরা জীবাণুমুক্ত করেন। করেন। নিজেদের লেখা ও সুর করা গান গেয়ে হাসপাতাল চত্বরে থাকা মানুষজনকে সচেতন করেন।
দমকল কর্মী শান্তনু পাণ্ডা বলেন, ‘‘যাতে লকডাউন খুব ভাল ভাবে সফল হয়, মানুষ সমস্ত সরকারি নির্দেশ মেনে চলেন, সে কারণেই আমরা গান বেঁধেছি সচেতনতার জন্য। পাশাপাশি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন এলাকা স্যানিটাইজ করছি।”
দমকলকর্মীদের এই উদ্যোগে খুশি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন। ক্যানিং ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রবীর হালদার বলেন, ‘‘আমরা তো বার বারই মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করছি, বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করছি। এ বার দমকল কর্মীরাও এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য গান গাইলেন। এটা সত্যি প্রশংসনীয়।’’
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিশের গানের ভিডিয়ো দেখে খুবই ভাল লেগেছিল। এখানে এসে দমকল কর্মীদের এমন উদ্যোগ সত্যি অবাক করল।’’
অন্য দিকে বসিরহাটের সরকারি দফতর এবং রাস্তা জীবাণুমুক্ত করতে নেমেছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। এ দিন বিকেলে বসিরহাটের মহকুমাশাসক এবং এক ব্লকের বিডিওর দফতর সহ সংলগ্ন রাস্তায় জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করে বসিরহাট মহকুমা দমকলের কর্মীরা। গোটা ব্লক অফিস চত্বর জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। দমকল কর্তৃপক্ষের দাবি, জলের সঙ্গে ব্লিচিং, ফিনাইল এবং হাইড্রক্লোরিক মিশিয়ে সরকারি অফিস ও সংলগ্ন এলাকা জীবাণু মুক্ত করা হয়। দমকলেল গাড়ি অফিসের সামনে ইটিন্ডা রাস্তা, ইছামতী সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড, পুলিশ ও সরকারি গাড়ি, মহকুমাশাসকের দফতরের পাশের রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy