Advertisement
E-Paper

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে মাছ শিকার, ৯ টন মাছ-সহ ট্রলার আটক হল পাথরপ্রতিমায়

মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার নদী ও সমুদ্রের জলে মাছ ধরার উপর দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সময়টি মাছেদের প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৎস্য দফতর।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৫ ১২:৩১
trawler

আটক ৯ টন মাছ-সহ ট্রলার। —নিজস্ব চিত্র।

‘নিষিদ্ধ সময়ে’ মাছ ধরার অভিযোগে প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ-সহ একটি ট্রলারকে আটক করলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। ট্রলারটিকে তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছেন। রবিবার এ নিয়ে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার উপকূলে।

মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার নদী ও সমুদ্রের জলে মাছ ধরার উপর দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সময়টি মাছেদের প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৎস্য দফতর। ওই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েক’টি ট্রলার নিয়ম ভেঙে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। বিষয়টি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের নজরে এলে তাঁরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে একদল মৎস্যজীবী সমুদ্রে অভিযানে নেমে একটি ট্রলারকে আটক করেন। ওই ট্রলারে প্রায় ৯ টন সামুদ্রিক মাছ ছিল। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শেষে পুলিশ গিয়ে আইনি পদক্ষেপ করেথে। আইনানুগ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।

মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ী গোপনে মাছ শিকারে বেরিয়ে পড়ছেন। বারণ সত্ত্বেও মাছের বাজারে সামুদ্রিক মাছ খোলাখুলি বিক্রি হচ্ছে।

পাথরপ্রতিমার স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘সরকার যখন মাছেদের বংশবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রুখে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য। আমরা সেটাই করেছি। এখন দেখার যে এই বিষয়ে প্রশাসন কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেয়।’’ উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন এই দু’মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে।

Patharpratima Fish
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy