প্রতীকী ছবি।
বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠানের জন্য চার পড়ুয়াকে মাঠের ঘাস পরিষ্কার করতে বলেছিলেন জনা কয়েক যুব নেতা। রাজি হননি তাঁরা। এমনকি, পড়ুয়াদের দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতেও রাজি না হওয়ায় চার পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল ওই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় চার জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। শনিবার রাতে ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা নিয়ে শাসক-বিজেপির তরজা রোজই নতুন মাত্রা পাচ্ছে। অমর্ত্য সেন এ সবের বিরোধিতা করায়, বিজেপি নেতাদের রোষে পড়তে হয়েছে তাঁকেও। তৃণমূল ঘোলার এই ঘটনার নিন্দা করলেও অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, সবই তৃণমূলের চক্রান্ত।
প্রহৃত ছাত্রদের দু’জন কলেজে পড়েন। বাকিরা স্কুল পড়ুয়া। তাঁদের এক জন প্রীতম বলেন, ‘‘স্থানীয় কয়েক জন বিজেপি নেতা এসে বলেন, ‘মাঠে দলের অনুষ্ঠান হবে। তোরা ঘাস পরিষ্কার করবি।’ আমরা জানাই, রাজনীতি করি না। এ সব করব না।’’ প্রীতমের অভিযোগ, ‘‘এর পরেই ওই নেতারা তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’’ অন্য পড়ুয়া অভিষেক সরকার জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে পাঁচটি বাইকে বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা তাঁদের পথ আটকায়। আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলা হয় তাঁদের। তিনি রাজি না হলে, প্রীতমকে তা বলতে বলা হয়। তিনিও রাজি না হলে মারধর করা হয় তাঁদের। অভিষেকের দাবি, তাঁরা চিৎকার করলে পালান অভিযুক্তেরা।
তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘কারও ইচ্ছা হলে তিনি ‘জয় শ্রীরাম’ বলতেই পারেন। কিন্তু, জোর করে বলানো যায় না। কিন্তু এ রাজ্যে সেটাই চলছে।’’ বিজেপি নেতা রমজান আলি বলেন, ‘‘দলের কেউ এ কাজ করবেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এটা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy