তিন দিন তাঁর খোঁজ মেলেনি। চতুর্থ দিন তাঁকে পাওয়া গেল। তবে মৃত অবস্থায়!
বীরভূমের লাভপুরে এক তৃণমূলকর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, ৩৭ বছরের ললিতমাধব মণ্ডলকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে মাঠে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
লাভপুর থানার লালবাজার গ্রামের বাসিন্দা ললিত তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। গত শনিবার আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান যুবক। লাভপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল পরিবার। তার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি এবং খোঁজখবর নিয়েও ললিতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের একটি মাঠে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর যায় থানায়। পরে ললিতের পরিবার লোকজন গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের পাশে একটি বিষের বোতল পড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। কিন্তু পরিবারের দাবি, ললিতকে অন্যত্র খুন করে দেহ ওই মাঠে ফেলে দিয়ে গিয়েছেন খুনিরা। আত্মহত্যা দেখানোর জন্য বিষের বোতল ফেলা হয় দেহের পাশে। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় ওর খোঁজ করেছি। ওই মাঠেই গিয়েছি আমরা। কিন্তু তখন তো পাইনি! আজ দুপুরে সেখানে দেহ এল কোথা থেকে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন ধান কাটার সময়। তিন দিন ধরে মাঠে দেহ পড়ে থাকলে কারও না কারও চোখে সেটা পড়ত। তা ছাড়া মৃতের মুখ এবং যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। আমাদের দৃড় বিশ্বাস, খুন করা হয়েছে ওকে।’’
পুলিশ ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।