Advertisement
E-Paper

চাকরিহারাদের আন্দোলনে ‘ফাটল’! প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক সরকারকে সমর্থন করছেন, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থনকারী একটি সংগঠনের চিঠি নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য। চিঠিটি চাকরিহারা শিক্ষকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আনটেন্টেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ডব্লুবিইউটিএ)-এর তরফে মৃণ্ময় মণ্ডল লিখেছেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৯:৫০
ব্রাত্য বসু চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি সংগঠনের যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন, তা নিয়ে শোরগোল।

ব্রাত্য বসু চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি সংগঠনের যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন, তা নিয়ে শোরগোল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কার্যত ফাটল ধরল চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনে! চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি সংগঠন সরকারের আইনি পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। তারা সরকারের পাশে রয়েছে বলেই জানিয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার।

সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থনকারী একটি সংগঠনের চিঠি নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য। সেই চিঠিটি আনন্দবাজার ডট কমের হাতে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, চিঠিটি চাকরিহারা শিক্ষকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আনটেন্টেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ডব্লুবিইউটিএ)-এর তরফে মৃণ্ময় মণ্ডল লিখেছেন। ব্রাত্য ছাড়াও চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, গত বৃহস্পতিবার বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির যে ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে সে দিন মৃণ্ময়ও ছিলেন বলে দাবি।

শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের চিঠি প্রকাশ্যে আনার পর মৃণ্ময় বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে যে আইনি লড়াই চলছে, সেটা যাতে আমরা জিততে পারি। এর জন্য যে মঞ্চটা ছিল, তার সঙ্গে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। আমাদের আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। সরকার কী কী ভূমিকা পালন করছে, তা বলতেই হবে। সরকারের প্রতি আমরা তো আস্থা রাখব।’’

সোমবারও বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে। যারা এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেতা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘আন্দোলন নিয়ে ওই সংগঠনের (মৃণ্ময়দের সংগঠন) সঙ্গে আমাদের কোনও মতানৈক্য নেই। কাউন্সেলিং নিয়ে একটা মতানৈক্য ছিল। আমরাও চাই সরকার আমাদের বাঁচাক। কারণ সরকার আমাদের চাকরিটা দিয়েছে। আবার তাদের দুর্নীতির কারণেই আমরা আজ রাস্তায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরাও সরকারকে সমর্থন করব যদি তাদের পদক্ষেপে আমাদের চাকরিটা ফিরে আসে।’’

যদিও সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বলেছেন, ‘‘শিক্ষা দফতর অনেক বার জানতে চেয়েছে যে, ওই আন্দোলনকারীদের কোনও বক্তব্য আছে কি না। তাঁরা কিছু লিখিত দিতে চান কি না। কিন্তু তাঁরা কোনও যোগাযোগ করেননি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যেটুকু জানতে পেরেছি, তাতে বুঝতে পেরেছি, ওঁরা পরীক্ষা দিতে চান না। ওঁরা সসম্মানে স্কুলে ফিরতে চান।’’

ব্রাত্যের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট আবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবে আদালত অবমাননা করবে? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে তাঁদের সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এখন একটাই বার্তা দেওয়ার আছে যে, ওঁরা আবার স্কুলে যান এবং রিভিউ পিটিশনে আমাদের সাহায্য করুন।’’ ব্রাত্যের বক্তব্য, বিকাশ ভবনে বিক্ষোভ করে বা রাস্তা অবরোধ করে কাজের কাজ কিছুই হবে না। বরং সরকারি আধিকারিকদের কাজ করতে দেওয়া হোক। কারণ, যদি আদালত অবমাননা হয়, সব পক্ষেরই ক্ষতি। যা চাকরিহারাদের ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা ভাল হবে না।

Bengal SSC Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy