Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
arrest

Bardhaman: প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে বধূর ঠোঁটে কামড়! কেতুগ্রামে গ্রেফতার যুবক

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ওই ঘটনায় জখম বধূর ঠোঁটে সেলাই দিতে হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৪৮
Share: Save:

বেশ কিছু দিন ধরেই বধূর ওপর কুনজর দিয়েছিলেন প্রতিবেশী যুবক। অভিযোগ, একাধিক বার কুপ্রস্তাব দিয়েও সাড়া মেলেনি। তাই প্রতিহিংসার বশে বধূর ঠোঁটে কামড় বসালেন তিনি!

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ওই ঘটনায় জখম বধূর ঠোঁটে সেলাই দিতে হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তাঁকে বুধবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁদরা গ্রামের মালিপুকুর পাড়ের বাসিন্দা ওই বধূ ও তার পরিবারের লোকজন দিনমজুরি করেন। বাড়িতে আছেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। আক্রান্ত বধূ পুলিশকে জানান পাড়ারই বাসিন্দা রঞ্জিত কোঁড়া বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন। তিনি বুধবার বলেন, ‘‘যে সময় আমি বাড়িতে থাকতাম তখন রঞ্জিত উঁকিঝুঁকি দিত। এ নিয়ে আমার জা তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু রঞ্জিত তাতে কর্ণপাত করেনি।’’ বধূ জানান তাঁকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক।

সোমবার বিকেল নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন ওই বধূ ও তার জা। স্বামী এবং দেওর তখনও বাইরে। বাড়িতে বৃদ্ধা শাশুড়ি এবং জা-সহ তিন জন ছিলেন। অভিযোগ, বাড়িতে কোনও পুরুষ না থাকার সুযোগে রঞ্জিত ভিতরে ঢুকে পড়েন। তাঁকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বধূ। তারপর তিনি ও তাঁর জা রঞ্জিতকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

অভিযোগ, সে সময় আচমকা বধূর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রঞ্জিত। তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনের ভঙ্গিতে ঠোঁটে কামড় বসান। তার পরেই ছুটে পালান অভিযুক্ত রঞ্জিত।

বধূর জা প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তারপর বধূ কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানালে মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার আক্রান্ত বধূর গোপন জবানবন্দি নেয় আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE