নিজস্ব চিত্র
ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনের ঘটনায় সুপারি কিলারদের ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার করল পুলিশ। হুগলি থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। ২২ অক্টোবর সব্যসাচীকে খুনের আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বালাগড় গ্রামে যান রিকি ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানে চায়ের দোকানে তাঁরা চা খান। দোকানের মালিক রাজীব কাজি বলেন, ‘‘সাদা রঙের গাড়িটি একটু দূরে রেখে তাঁরা চায়ের দোকানে চা খান। ছ’কাপ চা খান তাঁরা। তার পর তাঁরা গাড়ি চেপে চলে যান।’’ তদন্তকারীদের অনুমান, চায়ের দোকানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্লু-প্রিন্ট ছকে নেন রিকি ও অন্যেরা।
সোমবার সন্ধ্যায় রায়না থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত রিকিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। সেখানে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ‘সুপারি কিলার’ রিকি। কী ভাবে দেরিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে আসা সব্যসাচীকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়, তার বিবরণ দেন রিকি। তাঁকে দিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করায় পুলিশ। তবে এই ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত সোমনাথ মণ্ডলকে এখনও ধরা যায়নি। তিনি নিহতের কাকার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে পুলিশ।
ঘটনার দিন জামালপুরে দামোদর নদের উপর কালাড়াঘাট ব্রিজের সিসিটিভি ফুটেজই তদন্তে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সোমবার দেরিয়াপুরে সব্যসাচীর পৈতৃক বাড়িতে রিকি নিয়ে যাওয়ার আগে তাঁকে পুলিশ বালাগড়ে রাজীব কাজির চায়ের দোকানেও নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীরা ধরে পড়ে যাবে। তবে অভিযুক্ত সোমনাথ মণ্ডল অষ্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy