প্রতিহিংসার অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির। — ফাইল চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা’র রাজনীতি হচ্ছে। কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিআইডির নোটিস পেয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুক্রবার ভবানী ভবনে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিআইডি। জিতেনের ‘প্রতিহিংসা’র তত্ত্ব অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা তোপ দেগেছে জোড়াফুল শিবির।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্ডাল থানার পুরনো একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছে জিতেনকে। নোটিস প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নোটিস দেওয়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলব আমি? আমি আইন মেনে চলি। সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব।’’ জিতেন আরও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের অন্ডাল থানার একটি মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে নোটিস দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই কি তাঁকে তলব করা হয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরে জিতেনের অভিযোগ, ‘‘এটা এ রাজ্যের এক জন চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াও বলে দেবে। যেখানে সিবিআই ইতিমধ্যেই আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে, সেখানে হঠাৎ সিআইডির মনে হল আমাদেরও তদন্ত করা উচিত। আর বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কাছেই সব তথ্য পাবে, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে— এটা সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।’’
জিতেনের অভিযোগের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে দেশের ৫৭০ জন বিরোধী রাজনৈতিক নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়? ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর ইডির তল্লাশি হয়েছে, এটা প্রতিহিংসাপরায়ণতা নয়? অন্য দিকে লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করা হচ্ছে না। সিআইডি তদন্তে সাজার হার সিবিআই-ইডির থেকে ভাল।’’
আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র ছাড়াও আসানসোল জেলা বিভাগীয় ইনচার্জ বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, আসানসোলের বিজেপি নেতা সুব্রত মিশ্র, বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রকেও সিআইডির তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জিতেন্দ্রকে তলব করা হয়েছে শুক্রবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy