বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বধূকে ধর্ষণের দায়ে দোষীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। তা ছাড়া সাজাপ্রাপ্তকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ বিচারকের।
দোষীর নাম পরীক্ষিত রায়। বর্ধমান থানা এলাকায় তার বাড়ি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর, কালীপুজোর রাতে পরীক্ষিত ওই বধূর বাড়িতে যান। পরিবারের পূর্বপরিচিত তিনি। বধূর স্বামীকে তিনি জুয়া খেলার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে চান। কিন্তু ওই ব্যক্তি জুয়া খেলতে রাজি হননি।
অভিযোগ, তার পরে বধূকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান যুবক। পিছু পিছু বধূর স্বামীও সেখানে পৌঁছে যান। একটি ঘরে স্বামীকে বসতে বলে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে অন্য একটি ঘরে ঢুকিয়ে শিকল তুলে দেন অভিযুক্ত। তার পরে তাঁকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। দরজা খুলে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন স্বামী। সেখান থেকে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
অভিযোগের ভিত্তিতে দিন কয়েক পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই বছরের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জ গঠন হয়। মামলায় ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় শাস্তি ঘোষণা করেন বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। সরকারি আইনজীবী সুদর্শনা ঘোষ বলেন, ‘‘সাজাপ্রাপ্তের স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁকে দেখার কেউ নেই। সে কথা জানিয়ে শাস্তির মেয়াদ কমানোর জন্য বিচারকের কাছে আর্জি জানান পরীক্ষিত। তবে আমি যাবজ্জীবন সাজার পক্ষে সওয়াল করি। বিচারক নির্যাতিতাকে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’’