ক্যানসারের নকল ওষুধ দেশে ছড়ানোর অন্যতম ‘মূল মাথা’কে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের কেন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সাবির আলম। খণ্ডঘোষ থানার কুমিরখোলা এলাকার বাসিন্দা সাবিরকে গত তিন বছর ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। সাবিরের বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল হুলিয়াও। সেই আবহেই এ বার পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দেশে ক্যানসারের নকল ওষুধ তৈরি এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৪, ২৭৫, ২৭৬, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ৩০৮, ২০১, ৩৪ এবং ১২০বি ধারার অধীনে মামলা রুজু হয়। ঘটনায় দুই চিকিৎসক-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হরিয়ানার সোনিপতে ক্যানসারের নকল ওষুধ তৈরির কারখানার হদিস পায় পুলিশ। এ ছাড়াও, উত্তর প্রদেশে একটি গুদামেরও সন্ধান মেলে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যানসারের নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের থেকেই ওষুধ তৈরির চক্রে সাবিরের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে পুলিশ। যদিও তত দিনে সাবির গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে ধরতে বিশেষ দলও তৈরি করা হয়। শেষমেশ দীর্ঘ তিন বছর পর গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাণিগঞ্জের কেন্দা এলাকা থেকে সাবিরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের দাবি, ২০২২ সালে এক চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয় পেশায় ক্যাব ড্রাইভার সাবিরের। সেই চিকিৎসকই তাঁকে নকল ওষুধ তৈরির কারবারে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে দেশে ক্যানসারের নকল ওষুধ তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্যতম ‘মাথা’ হয়ে ওঠেন সাবির। তাঁর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নকল ওষুধ পাঠানো হত। এমনকি, ওষুধ পাচার হত বাংলাদেশেও। তাই সাবিরের গ্রেফতারিকে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।