Advertisement
E-Paper

কর্মীদের কাজে কড়া নজরদারি, সিদ্ধান্ত বৈঠকে

রোগী পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলি নিয়ে অন্য ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য কোনও ওয়ার্ডবয়কে পাওয়া যায় না। ট্রলি পেতে গেলে বিস্তর সমস্যা পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ ছাড়া, ওয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়েও মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০২:৪০
হাসপাতালে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি পেতে সমস্যা দীর্ঘদিনের। ট্রলি ঠেলার লোকও পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রোগীদের। ট্রলি পেতে জমা দিতে হয় মোবাইল বা আধার, এমন অভিযোগও উঠেছিল বেশ কয়েক বছর আগে। বুধবার এক বছর পরে হওয়া বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনা হল এই সমস্যাগুলি নিয়েই। কত জন কর্মী, কোথায় কাজ করছেন, তা জানতে চান সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কর্মীদের কাজে কড়া নজরদারি চালানোর কথাও বলেন তিনি।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমানে ৭২১ জন সাফাইকর্মী আছেন। ওই হাসপাতাল ছাড়া, অনাময় হাসপাতাল, হোস্টেল এবং ডেন্টাল কলেজে কর্মরত তাঁরা। বিভিন্ন এজেন্সি ওই কর্মী সরবরাহ করে। কিন্তু কর্মীদের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে বারবার। প্রধান অভিযোগ আসে জরুরি বিভাগের ট্রলি নিয়ে। রোগী পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলি নিয়ে অন্য ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য কোনও ওয়ার্ডবয়কে পাওয়া যায় না। ট্রলি পেতে গেলে বিস্তর সমস্যা পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ ছাড়া, ওয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়েও মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, অভিযোগগুলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বপনবাবু। কোথায় কত কর্মী রয়েছে, তাঁরা কে কী কাজ করেন, সেগুলি দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেন তিনি। সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কোন লোক, কী কাজ করছে, কে কাজ করছে না সেগুলি দেখার জন্য বলা হয়েছে। এ বার আমরা এই বিষয়ে কড়া অবস্থান নেব।’’

বৈঠকের শুরুতে কোভিডে মৃতদের উদ্দেশে নীরবতা পালন করে বৈঠক শুরু হয়। হাসপাতালের সুপার নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। ছিলেন জেলাশাসক এনাউর রহমান, জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য উজ্জ্বল প্রামাণিক, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল সুহৃতা পাল, সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত, ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে প্রমুখ। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘কোভিডে হাসপাতাল ভাল কাজ করেছে। কিন্তু এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে। আগামী মাসে জরুরি বিভাগের সামনে নবনির্মিত বিল্ডিং চালু করার কথা বলা হয়েছে। নিরাপত্তা-সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার জন্য হাসপাতালের সিসিটিভিগুলি পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে ক্যামেরা বাড়ানো হবে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনাময় হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ, বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ‘ফাইভ পার্ট অটোমেটেড ইলেকট্রিক্যাল অ্যানালাইজ়ার কাম সেল কাউন্টার’ বসানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে এই বৈঠকে।

সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সপ্তাহে এক দিন কোনও এক আধিকারিককে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। আগামী ২৩ তারিখ জেলাশাসকের দফতরে এই বিষয় নিয়ে আবারও একটি বৈঠক হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy