ডিসেরগড়ে। নিজস্ব চিত্র।
পর পর দু’বার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু বাবুল নন, আসানসোলের মানুষ জিতিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এমনই দাবি করে ফের মোদীর নামেই ভোট চাইলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদের ‘কাজ’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
বারাবনির দোমহানিতে এ দিন কর্মিসভা করেন শুভেন্দু। সেখানে মণ্ডল সভাপতি ও বুথকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয় কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন শুভেন্দু। এর পরে, শীতলপুরে গিয়ে মোটরবাইক র্যালি করেন শুভেন্দু। পরে, রাতে যান ডিসেরগড়ে। সেখানের কর্মিসভাটি কার্যত জনসভার রূপ নেয়। শুভেন্দু জনতার উদ্দেশে বলেন, “২০১৪-য় মোদীজি-কে ভোট দিয়ে এখান থেকে এক জনকে নির্বাচিত করেছিলেন আপনারা। ২০১৯-এও মোদীজি-কে ফের এখান থেকে আপনারা জেতান। এ বারে আমাদের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে জেতান। তাঁকে জেতালে, বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী নেতা মোদীজির হাত শক্ত আরও শক্ত হবে।” এর পরেই শুভেন্দু আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদের ভূমিকা নিয়ে সরব হন। তাঁর কথায়, “এখান থেকে আগে যিনি জিতেছিলেন, তাঁর পারফরমেন্স ভাল ছিল না। ফলে, তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়। এর পরেই তিনি অন্য দলে যান। আপনারাও একটি অকাল ভোটের মুখে পড়লেন।”
যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “প্রাক্তন সাংসদের পারফরমেন্স খারাপ সেটা বুঝতে বিজেপির এত দিন সময় লাগল! দু’বার টিকিট দিয়ে, দু’বার মন্ত্রী করার পরে, হঠাৎ মনে হল, ওঁর পারফরমেন্স খারাপ। আসলে, নিজেদের সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন এ সব অপপ্রচার করছেন বিজেপি নেতারা।” তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় শুভেন্দুদের গোটা পরিবার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তার পরে, সিবিআই-এর ভয়ে ও নিজে দল ছেড়েছে। তাই ওর মুখে এ সব কথা মানায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy