Advertisement
E-Paper

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সভা টিএমসিপি-র, অভিযোগ

 ভাতারের সাহেবগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত এলাকার শালকুনি গ্রামে আবার টিএমসিপি-র অনুষ্ঠানে স্কুলের পোশাকে খুদে পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০০:৪৮
স‌ংহতি মঞ্চে চলছে ‘ভার্চুয়াল’ সভা। নিজস্ব চিত্র

স‌ংহতি মঞ্চে চলছে ‘ভার্চুয়াল’ সভা। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভার্চুয়াল’ সভা নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছিল। ‘স্যানিটাইজ়ার টানেল’ বসানো থেকে শুরু করে হলের ভিতরে দূরত্ব বজায় রাখতে একটি অন্তর চেয়ারে ‘স্টিকার’ সাঁটানো হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে কাটোয়া শহরের সংহতি মঞ্চে ওই সভায় বড় পর্দায় দলনেত্রীর বক্তব্য শুরু হতেই ভিড় উপচে পড়ে বলে অভিযোগ। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, দাবি করেছেন বিরোধীরা। যদিও যুব তৃণমূলের দাবি, যাবতীয় স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই সভা করা হয়েছে। বিরোধীরা অপপ্রচার করেছে।

ভাতারের সাহেবগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত এলাকার শালকুনি গ্রামে আবার টিএমসিপি-র অনুষ্ঠানে স্কুলের পোশাকে খুদে পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ভাতার ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বাসুদেব যশ-সহ স্থানীয় নেতা কর্মীদের একাংশ। টিএমসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ভার্চুয়াল’ সভার পরে, পড়ুয়াদের হাতে ‘মাস্ক’, স্যানিটাইজার, চকোলেট ও পেন তুলে দেওয়া হয়। অঞ্চল যুব সভাপতি সায়ন ঘোষের দাবি, অনুষ্ঠানের পরে, প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে ওই জিনিসগুলি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েকজন উৎসাহের বশে বিদ্যালয়ের পোশাক পরে সেখানে চলে আসে।

কাটোয়ার অনুষ্ঠানে এ দিন হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দাঁইহাট পুরসভার প্রশাসক শিশির মণ্ডল প্রমুখ। সভার শুরুতে প্রত্যেককেই ‘স্যানিটাইজ়ার টানেলে’র মধ্যে দিয়েই ঢোকান হয়। একটি করে চেয়ার ফাঁকা রেখে বসতে বলা হয়। অভিযোগ, ভিড় বাড়তেই আলগা হয় স্বাস্থ্য-বিধি। সমস্ত চেয়ারে পাশাপাশি বসা, ‘মাস্ক’ খুলে ফেলা বা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখাও দেখা যায় বলে অভিযোগ।

জেলা (কাটোয়া) বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল দলীয় কর্মসূচির নামে গোটা বাংলায় হাজার হাজার লোক জমায়েত করে করোনা ছড়াচ্ছে। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।’’ রাসবিহারী হালদার ও সাদ্দাম হোসেনের অবশ্য দাবি, ‘‘স্বাস্থ্য-বিধি পুরোপুরি মানা হয়েছে। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল। রীতিমতো স্যানিটাইজ করেই হলে ঢোকানো হয়েছে।’’

TMCP Katoa Vatar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy