নিজস্ব চিত্র।
সিবিআই-এর হাতে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার নিয়ে এ বার সুর চ়ড়ালেন তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি ও দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় তাঁর নাম থাকায় বৃহস্পতিবার প্রণবকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শুক্রবার তদন্তকারীদের একটি দল প্রণবের বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও ঢলদিঘির অফিসে তল্লাশিও চালায়। এই প্রসঙ্গেই রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলার চার্জশিট আগেই আদালতে জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে প্রণবের নাম রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সিবিআই ও ইডি-কে ব্যবহার করছে বিজেপি।’’
মাস চারেক আগেই প্রণবের নেতৃত্বে বর্ধমান পুরসভার দায়িত্ব নেয় নতুন প্রশাসকমণ্ডলী। এরই মধ্যেই পুর প্রশাসকের গ্রেফতারে বিস্ময় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টিই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে রয়েছে। দল নির্দেশ দিলেই আমরা রাস্তায় নামব।’’
তবে প্রণব নতুন পুরবোর্ডের দায়িত্ব পাওয়ার পরই কেন বর্ধমানে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে প্রণববাবুর সঙ্গেই আছে দল। কিন্তু বর্ধমান শহরের নাগরিকদের পরিষেবা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা মাথায় রেখে নতুন পুরপ্রশাসকের দায়িত্বে অন্য কাউকে বসানো হতে পারে।’’
বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিবিআই-এর কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে, তাই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। হাই কোর্টের নির্দেশেই বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। তৃণমূলের যদি সিবিআই-এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে তারা কোর্টে যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy