প্রতীকী ছবি।
কাজের খতিয়ান চেয়ে আগেই পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিয়েছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত কর্তারা নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধানে তা জানানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। বুধবার ফের ওই খতিয়ান চেয়ে ভাতারের নাসিগ্রামে বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েত দফতরে হামলা, কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের কাজ বন্ধ করতেই হামলা চালিয়েছে বিজেপি। রাতেই দলের আট কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপির দাবি, গোলমালের সঙ্গে তাঁদের কেউ জড়িত নন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সাত জন নাসিগ্রামের, আর এক জনের বাড়ি মাধপুরে। তাঁদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, “ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে ফের ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন দুপুরে বিজেপির ৪০-৪৫ জন পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। দাবি ছিল, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের হিসেব ও দরপত্রের তথ্য তাঁদের দিতে হবে। তথ্য জানার অধিকার আইনে দরখাস্ত করার পরেও নির্দিষ্ট সময়ে তার উত্তর পঞ্চায়েত কেন দেয়নি, সেই জবাবও চান তাঁরা। অভিযোগ, অবস্থান চলার ফাঁকেই কয়েকজন বিজেপি কর্মী পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকে হম্বিতম্বি শুরু করেন। ভাঙচুর করা হয়। পঞ্চায়েতের নির্বাহী আধিকারিক বিজয় সামুইকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। জখম অবস্থায় তাঁকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েতের সচিব সুধীরকুমার দাস ভাতার থানায় এফআইআর করেন।
তৃণমূলের ভাতার ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তথ্য জানার অধিকার আইনে সব জিজ্ঞাস্যর উত্তর দিয়েছে পঞ্চায়েত। তার পরেও অবস্থান-বিক্ষোভের নামে পঞ্চায়েতের ভিতর হামলা, সরকারি কর্মীকে মারধর করেছে বিজেপি। কোথাও উন্নয়নের কাজ করতে দিচ্ছে না। সব সময় গোলমাল পাকিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা।’’ বিজেপির ভাতারের ৩৩ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শুভজ্যোতি রায়ের পাল্টা দাবি, “পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। কয়েকজন মদ্যপ গোলমাল পাকিয়েছে। আর আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy