Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

বাংলায় কেব্‌ল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরিতে অম্বানী

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, একদা এই প্রকল্প গড়ার কথা ছিল সরকারি একটি সংস্থার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা তখন বাস্তবায়িত হয়নি।

মুকেশ অম্বানী

মুকেশ অম্বানী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৮
Share: Save:

পরিকল্পনা ছিল অনেক আগেই। এ বার তা বাস্তবায়িত হওয়ার ইঙ্গিত দিল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দিঘায় কেব্‌ল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে রাজ্যে। সূত্রের খবর, মুকেশ অম্বানীর সংস্থা এই ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করবে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, একদা এই প্রকল্প গড়ার কথা ছিল সরকারি একটি সংস্থার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা তখন বাস্তবায়িত হয়নি। এ বার শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করায় এবং সরকারি পদ্ধতিতে নির্বাচিত হওয়ায় তারাই কেব্‌ল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কাজ করবে।

সরকারি ব্যাখ্যায়, ডেটা প্রসেসিং যেখানে যত ভাল ভাবে হয়, সেই জায়গায় বিনিয়োগ এবং উন্নতির সম্ভাবনা তত বেশি। ডেটা প্রসেসিংয়ের গতি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গতিশীল ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে উপযুক্ত ব্যান্ডউইথের কেব্‌ল সাধারণ ভাবে সমুদ্রের নীচ দিয়ে পাতা হয়। সেখান থেকে স্থলভাগে কেব্‌লগুলি ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে উঠে আসে। দিঘায় সেই পরিকাঠামোই তৈরি হবে। রাজ্যের সব ডেটা সেন্টার, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সহায়ক ক্ষেত্রগুলি এতে ভীষণ ভাবে লাভবান হবে। সিঙ্গাপুর, ইটালি এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে সংযোগও তৈরি হবে। এত দিন চেন্নাই এবং মুম্বইতে একটি করে কেব্‌ল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে। এ রাজ্যে তৈরি হলে পূর্ব ভারতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। অনেক সংস্থা চাইলে রাজ্যে নিজেদের ডাটা-সেন্টার তৈরি করতে পারবে।

আরও পড়ুন: বিধি মেনে চললে রাজ্যে লোকাল ট্রেন-মেট্রো চলাচলে আপত্তি নেই মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে পরিকাঠামো তৈরি হবে। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই প্রকল্পে। আন্তর্জাতিক হাব হয়ে যাবে।”

কেন্দ্রের হাত ছেড়ে নিজেরাই তাজপুর বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এ দিন মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাবেও ছাড়পত্র দিয়েছে। সহযোগী সংস্থা কারা হবে, তা দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন করবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পগুলির পাশাপাশি, ডেউচা-পাঁচামির প্রাথমিক কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সিলিকন ভ্যালি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ব্রডব্যান্ড পলিসিও তৈরি করা হবে। এই ‘পলিসি-২০২০’-র অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতেও কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে সরকারি সূত্রের দাবি।

আরও পড়ুন: মমতার ঘোষণায় শুরু তৎপরতা, তবু অনিশ্চিত কর্ড ব্লাড থেরাপি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE