গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমল। দু’মাস পর শুক্রবারেই দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও কমে ৪ হাজার ২৮৬ হল। একই সঙ্গে সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৮১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে, শুক্রবার সংখ্যাটা ৮৯ ছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮। সোমবার যেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ছিল, সেই তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শুধরেছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত সংখ্যাটা ১৫ হাজারের আশেপাশে ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণও বেড়েছে। ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ হাজার ২৭৬ জনের। প্রতি দিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত গুলির রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণের হার ৭.৮৪ শতাংশ, শুক্রবার যা ৮.৪২ শতাংশ ছিল।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৭৩ জন মানুষ নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার প্রকোপে রাজ্যে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৮১২ জনের। এর মধ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে একেবারে পিঠোপিঠি উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৭। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯৩ জন। কলকাতায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৮২৭। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ১৯ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন করোনা রোগী। এ ছাড়াও জলপাইগুড়িতে ৮ জন, হুগলিতে ৭ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন, হাওড়ায় ৫ জন, নদিয়ায় ৪ জন, দার্জিলিং এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ১ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামে।
করোনাকে ঠেকাতে গেলে আরও বেশি করে পরীক্ষা এবং টিকাকরণে জোর দেওয়ার সুপারিশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০৫ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy