শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। —নিজস্ব চিত্র।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দু’টি বাড়িতে এবং বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি অভিযান চলছে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরেও। আগেই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে এবং সংলগ্ন এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বেলা গড়ানোর পর দেখা গেল, মন্ত্রীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে খাকি পোশাকের রাজ্য পুলিশকেও। পুলিশের পদস্থ কর্তা এবং আধিকারিকদেরও এলাকায় দেখা গিয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দু’ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকেরা। পুর মামলায় বৃহস্পতিবার বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। সকাল থেকে সেখানেও তল্লাশি চলছে।
সকাল থেকেই লেক টাউনের শ্রীভূমি এলাকায় সুজিতের বাড়ির কাছে হাতে লাঠি এবং কাঁধে বন্দুক নিয়ে টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এলাকায় জমায়েত দেখলেই মানুষজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বাহিনীর সদস্যেরা। বেলা গড়ানোর পরে শ্রীভূমি ক্লাবের সামনেও মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এই দৃশ্য দেখে অনেকেরই নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কারণ, বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধি করতে এ ভাবেই অস্ত্র নিয়ে টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ সুজিতের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। পুর নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় তদন্ত করতেই এই তল্লাশি বলে জানা যায়। দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল হতে চললেও এখনও এই তল্লাশি চলছে। শ্রীভূমি সুজিতের এলাকা। সেখানে তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী। ফলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও এলাকায় কম নয়। সন্দেশখালির মতো সুজিতের জন্যও শ্রীভূমিতে ইডির বিরুদ্ধে লোক জড়ো হয়ে যেতে পারে, আগেই তার জন্য প্রস্তুত হয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যাঁরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের মাথায় রয়েছে হেলমেট। কেউ আক্রমণ করলে মাথায় যাতে গুরুতর আঘাত না লাগে, তার জন্য এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy