বেলুড়ে সারদা মায়ের ১৭০তম জন্মতিথি উপলক্ষে ভক্তদের ঢল। — নিজস্ব চিত্র।
মা সারদার ১৭০তম জন্মতিথি। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর সেজে উঠল বেলুড় মঠ। কোভিডের কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল উদ্যাপন। এ বার তাই হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামে সেখানে। মা সারদার জন্মভিটে জয়রামবাটিতেও পালন হল জন্মতিথি। দেশ, বিদেশ থেকে এসেছিলেন পুণ্যার্থীরা।
রীতি মেনে ভোর থেকেই বেলুড়ে পালন করা হয় সারদা মায়ের জন্মতিথি। ভোর ৪.৪৫ মিনিটে ঠাকুর রামকৃষ্ণের মন্দিরে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা। এর পর হয় স্তব, বেদ পাঠ, ভজন, বিশেষ পুজো ও হোম। সকাল ৮টা থেকে মন্দির চত্বরে অস্থায়ী ভাবে তৈরি সভা মণ্ডপে চলে কথা পাঠ, ভক্তিগীতি, গীতিনাট্য, ভজন। মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর শেষ হয় জন্মতিথি উৎসব।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মা সারদার জন্মতিথি উপলক্ষে উৎসবের আবহ ছিল বাঁকুড়ার জয়রামবাটির মাতৃমন্দিরে। বৃহস্পতিবার ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে মা সারদার পবিত্র জন্মতিথি পালন শুরু হয় মাতৃমন্দিরে। এর পর বৈদিক স্তবপাঠ, প্রভাতফেরি হয়। মাতৃমন্দির থেকে শুরু হয়ে এই প্রভাতফেরি শেষ হয় সিহড়ের শান্তিনাথ শিবমন্দিরে। রাতে মাতৃ মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ নাচ।
মাতৃমন্দিরের মহারাজ পররূপানন্দ বলেন, ‘‘মা বলতেন, যাঁরা এসেছেন এবং যাঁরা আসবেন তাঁদের সকলের প্রতি আমার আশীর্বাদ ও ভালবাসা থাকল। আমরা জানতে পারি বা না পারি, মায়ের আশীর্বাদ সব সময় আমাদের উপর বর্ষিত হচ্ছে। মা তাঁর জীবনের ৬০ বছরের বেশি সময় এই জয়রামবাটিতে কাটিয়েছেন।’’ কলকাতা থেকে এ দিন মাতৃমন্দিরে এসেছিলেন দীপান্বিতা দাস। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল মায়ের জন্মদিনে জয়রামবাটি দেখব। মা আমার সেই ইচ্ছেপূরণ করলেন। মায়ের কাছে একটাই কামনা, মায়ের সব সন্তান যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy