পুলিশের দাবি, ধৃতেরা প্রতারণা চক্রে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতেন। —নিজস্ব চিত্র।
কম দামে সোনা কিনতে গিয়ে প্রতারকদের কাছে ৭ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ করলেন সিঙ্গুরের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, কম দামে সোনা বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেননি ৩ ব্যক্তি। উল্টে ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এর পিছনে কোনও প্রতারণাচক্র রয়েছে। যদিও মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিঙ্গুরের গোপালনগর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা শুভ্রজিৎ দাস তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, সোনা কেনাবেচার কারবারীরা কম দামে তা বিক্রি করছেন। পুলিশের কাছে শুভ্রজিতের দাবি, ১৬ জুন ভদ্রেশ্বর শ্বেতপুর মোড়ের একটি হোটেলে বসে রনো, রিন্টু এবং অনন্ত নামে ৩ জনের সঙ্গে সোনা কেনা নিয়ে তাঁর কথাবার্তা হয়। শুভ্রজিৎকে তাঁরা টাকা নিয়ে আসতে বলেন। সে জন্য শুক্রবার সিঙ্গুরের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ৭ লক্ষ টাকা তোলেন শুভ্রজিৎ। এর পর ওই টাকা নিয়ে ৩ জনের কথা মতো পোলবার রাজহাটের হোসনাবাদে যান তিনি। রনো, রিন্টু এবং অনন্তের সেখানেই সোনা নিয়ে আসার কথা ছিল। অভিযোগ, শুভ্রজিতের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় ৩ জন। ঘটনার পর পোলবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রজিৎ।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি প্রতারণা চক্রের হদিস পেয়েছে। তবে রনোদের পাকড়াও করতে না পারলেও সিঙ্গুর থেকে শুভ্রজ্যোতি ঘোষ, অনিন্দ্য পাল এবং সমীর ওরাওঁ নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা এই চক্রে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁদের জেরা করে মূল অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। শনিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ৩ জনেরই ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy