রিষড়াকাণ্ডে ধৃতদের সামনে পুলিশের সাংবাদিক বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
রিষড়াকাণ্ডের দু’সপ্তাহ পর গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন তিন জন। এ বার শুটআউটকাণ্ডে বিহার থেকে পাকড়াও করা হল মূল অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম পদ্দুম সাউ। আগেও বেশ কয়েকটি অপরাধের ঘটনায় তাঁর নাম রয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি হুগলির রিষড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হেস্টিং মাঠের পিছনে গোঁসাইবাগান এলাকায় দীপক জায়সওয়াল নামে এক জনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন দীপক। প্রথমে তাঁকে শ্রীরামপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তার মধ্যে ওই গুলি চালানোর ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুরনো শত্রুতার জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, দীপক এলাকায় ‘দাদাগিরি’ করতেন। ২০২২ সালের একটি খুনের ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। জেলও খাটেন। জেল থেকে বেরিয়ে রিষড়ার একটি পাটকলে কাজ করছিলেন। যে বাড়িতে তিনি ভাড়া ছিলেন, সেই বাড়ি ছাড়তে চাইছিলেন না। অন্য দিকে, ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে দীপককে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। তাতে নাম ওঠে জনৈক রোহিত, সুরজ, জয়ের। এঁদের সঙ্গে দীপকের পুরনো শত্রুতা ছিল বলে খবর। শুরু হয় খুনের পরিকল্পনা। যাঁকে এই খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়, তাঁর নাম পদ্দুম সাউ। কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে পুলিশ প্রশাসন চেনে তাঁকে।
চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস রিষড়া থানায় বসে বলেন, ‘‘পদ্দুম এর আগে ২০০৭ সালে রিষড়াতেই একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ২০১৩ সালে কলকাতার বড়বাজারে ডাকাতির ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত। এর আগে পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। রিষড়ার ২১ এনএস রোডে অভিযুক্তের বাড়ি হলেও তিনি থাকতেন বিহারের লক্ষ্মীপুরে। পুলিশ তাঁর সঙ্গীদের জেরা করে জানতে পারে যে, অপরাধ করেই বিহারে পালিয়ে যেত পদ্দুম। সেই সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy