মূলত দলের কাউন্সিলরদের অনাস্থায় অপসারিত হলেন রঘুনাথপুর পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান তরণী বাউড়ি। মঙ্গলবার মহকুমা শাসককে প্রশাসক হিসাবে বসানো হল পুরুলিয়ার ওই পুরসভায়। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পুরপ্রধানকে সরানো হলেও তলবি সভা না ডেকে প্রশাসক বসানো হয়েছে। যা ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি কাউন্সিলর।
গত পুর নির্বাচনে ১৩ আসন বিশিষ্ট রঘুনাথপুর পুরসভায় ১০টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। ২টি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস এবং ১টি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল বোর্ড গঠন করার পর থেকে পুরপ্রধান তরণীর সঙ্গে অন্যান্য কাউন্সিলরের বিরোধ সামনে আসে। গত ২৪ এপ্রিল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের ছয় কাউন্সিলর। তাঁদের সমর্থন করেন কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর।
ঘটনাক্রমে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় রঘুনাথপুর মহকুমা শাসকের কাছে। অবশেষে ২৬ দিনের মাথায় অপসারণ করা হল পুরপ্রধানকে। মঙ্গলবার পুরসভাপ্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক বিবেক পঙ্কজ।
তরণীর অবশ্য অভিযোগ, কয়েক জন কাউন্সিলর দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করায় তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। যদিও তরণীর বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরেরা। অন্য দিকে, বিজেপি কাউন্সিলরের অভিযোগ,‘‘অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর কোনও সভা না ডেকে বেআইনি ভাবে পুরপ্রশাসক বসানো হল। বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হব। আমরা চাই, পুরসভায় আস্থা ভোট হোক।’’
আরও পড়ুন:
মহকুমা শাসক তথা পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক বিবেক পঙ্কজ জানান, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে রঘুনাথপুর পুরসভায় প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সেই মতো মঙ্গলবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে আস্থা ভোট করা হবে। তার পর নতুন পুরপ্রধান যিনি হবেন, তাঁকে দায়িত্বভার দেওয়া হবে।’’