পাকড়াও: সোমবার হাত দিয়ে মেট্রোর দরজা আটকানোর চেষ্টা করলেন নাসের হুসেন নামে এক যাত্রী (বাঁ দিকে)। তাঁকে আটক করেন কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী। পরে ওই যাত্রীকে জরিমানাও করা হয়। পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
ঠেকে শিখছে মেট্রো।
শনিবারের দুর্ঘটনার পরে যাত্রীদের একাংশের শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠতে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে তৎপর হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু করছেন তাঁরা। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও কোনও কোনও যাত্রীর যে চেতনা ফিরছে না, তা আবারও দেখা গেল সোমবার রাতে সেই পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে।
এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কবি সুভাষগামী একটি মেট্রো ছাড়ার মুহূর্তে এক যাত্রী হাত দিয়ে দরজা আটকানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বছর সাঁইত্রিশের ওই ব্যক্তিকে আটক করেন আরপিএফের কর্মী বিদ্যুৎ দাস। জানা গিয়েছে, নাদিয়ালের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম নাসের হুসেন। তাঁকে তিন হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
মেট্রো আধিকারিকদের অভিযোগ, প্রায়ই যাত্রীদের একাংশ শেষ মুহূর্তে লাফ দিয়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। এর ফলে এক দিকে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে, তেমনই বারবার দরজা খোলা এবং বন্ধ হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। যার জেরে মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এত দিন এই বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে উদ্যোগী না হলেও শনিবারের ঘটনার পরে নড়ে বসেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সচেতন করতে মেট্রোর টিভিতে বিশেষ প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ
আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি হচ্ছে বিশেষ ভিডিয়ো-বার্তা। যাতে মেট্রোয় ওঠার সময়ে যাত্রীদের কী ধরনের সতর্কতা নেওয়া দরকার, তা জানানো হবে। যেহেতু কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরের মেট্রো পাওয়া যায়, তাই ভিড় কামরায় ঠাসাঠাসি করে যাতে যাত্রীরা না ওঠেন, সেই পরামর্শও দেওয়া হবে। জানানো হবে, শরীরের কোনও অংশ দিয়ে কামরার দরজা আটকানোর চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইন্দ্রাণী এ দিন বলেন, ‘‘যাত্রীদের সহযোগিতা ছাড়া সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থাই সম্পূর্ণ হতে পারে না। সে জন্যই তাঁদের সচেতন করার উপরে জোর দিচ্ছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy