প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও অনশনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষিকা নিজের স্কুলেরই আর এক শিক্ষিকার হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিধাননগর পুলিশের কাছে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা আবার অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
ন্যায্য বেতনের দাবিতে ‘উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এক শিক্ষক সংগঠন সল্টলেকের বিকাশ ভবনের পাশে ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসে। সেই সংগঠনের সদস্য পারমিতা বড়ুয়াও ওই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। সল্টলেকের বিকে ব্লক প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে তাঁকেই নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবং সেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ওই স্কুলেরই আর এক শিক্ষিকা পারমিতা নাথের বিরুদ্ধে। পারমিতা নাথও আবার পারমিতা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পারমিতা বড়ুয়ার অভিযোগ, অনশন শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে স্কুলে তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। তাতেই তাঁর প্রতি কয়েক জন শিক্ষিকার ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যার জেরে তাঁকে প্রতিদিন অকথ্য গালিগালাজ এবং ওই শিক্ষক সংগঠনের নামে গালমন্দ শুনতে হত। বুধবারও তেমনটাই ঘটে বলে তাঁর অভিযোগ। ওই শিক্ষিকার দাবি, এ দিন তিনি প্রতিবাদ করায় অভিভাবক ও শিক্ষিকাদের সামনেই তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন পারমিতা নাথ। তাঁর ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পারমিতা নাথের নম্বরে ফোন করা হলে এক মহিলা কণ্ঠ দাবি করেন, তিনি অভিযুক্ত শিক্ষিকা নন। পারমিতা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মারধরের যে পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুরো মিথ্যা অভিযোগ। পারমিতা নাথই আমাকে মারধর করেছেন।’’
শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস ও সভাপতি সন্দীপ ঘোষ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, তাঁরা আক্রান্ত শিক্ষিকার পাশে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy