Advertisement
E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ফের রোগীকে পথে ‘ফেলে যাওয়ার চেষ্টা’

বাঙুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সটি এসেছিল ওই এলাকায় রোগীর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁকে পৌঁছে দিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০২:৫৪
অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানো হয়েছে রোগীকে। নিজস্ব চিত্র

অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানো হয়েছে রোগীকে। নিজস্ব চিত্র

ফের অ্যাম্বুল্যান্স থেকে রোগীকে মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তবে আগের দু’বারের মতো এ বার আর রোগীকে ফুটপাতে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্সটি। এলাকার বাসিন্দাদের বাধায় ওই রোগীকে ফের তুলে নিয়ে যান চালক।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজিনগর থানা এলাকার নাকতলায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই রোগীকে নামানোর ব্যাপারে বাধা দেওয়ায় তাঁকে ফের তুলে নিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি।

বাঙুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সটি এসেছিল ওই এলাকায় রোগীর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁকে পৌঁছে দিতে। কিন্তু সেই আত্মীয় তাঁকে রাখতে অস্বীকার করায় তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তখনই ওই রোগীকে সেই বাড়ির সামনের ফুটপাতে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন চালক ও তাঁর দুই সঙ্গী।

আরও পড়ুন: শুনানি মুলতুবি হাইকোর্ট ও আলিপুরে

এলাকার বাসিন্দারা জানান, চালক ছাড়াও ওই অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে পিপিই পরা দু’জন ছিলেন। তাঁরা এম আর বাঙুর হাসপাতাল থেকে এসেছেন বলে দাবি করে জানান, নেতাজিনগর থানার সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। পুলিশই ওই রোগীকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স থেকে রোগীকে রাস্তায় নামাতে দেখে আমরা প্রতিবাদ করি। তাতে পিপিই পরা ওই দু’জন জানান, পুলিশই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেবে।’’ দেবায়নবাবু জানান, তাঁরা সে কথা মানতে চাননি। এর পরেই রোগীকে নিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পরে বাসিন্দারা ওই অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর উল্লেখ করে স্থানীয় নেতাজিনগর থানায় গোটা বিষয়টি জানান। অ্যাম্বুল্যান্সকর্মীদের অবশ্য দাবি, তাঁরা রোগীকে নামিয়ে রেখে যেতেন না। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রথমে কিছু জানত না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে, সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই রোগীর বাড়ি বেহালায়। দু’দিন আগে তিনি কোমরে যন্ত্রণা নিয়ে এম আর বাঙুরে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র পাঠাতে চেষ্টা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, সেই সময়ে ওই রোগীর দাদা হাসপাতালে এসে জানান, তাঁকে নাকতলায় আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হোক। কিন্তু ওই আত্মীয় তাঁকে নিতে অস্বীকার করেন। পরে ওই দাদার উপস্থিতিতে ফের সিদ্ধার্থবাবুকে পাঠানো হয় বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। ওই রোগীকে নিয়েই অ্যাম্বুল্যান্সের ফিরে আসা উচিত ছিল। কী হয়েছে খতিয়ে দেখছি।’’

আরও পড়ুন: বেসরকারি বাস কি চালানো যাবে বিধি মেনে?

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy