ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপটে ক্ষতির আশঙ্কায় কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা ১০টি ছোট বিমানকে অন্য শহরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল। সোমবার বিকেলেই একটি বিমান বারাণসী উড়ে যায়। মঙ্গলবার দু’টি বিমান গুয়াহাটি এবং বাকি চারটি বারাণসীতে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও তিনটি বিমান নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাঁচীতে।
লকডাউনের জেরে আপাতত যাত্রী উড়ান বন্ধ। দেশের সব বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বহু বিমান। কলকাতায় ছিল ৫২টি বিমান। তার মধ্যে বেশির ভাগই বড় এয়ারবাস বা বোয়িং। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, ঝড় যত জোরেই আসুক, বড় বিমানের ক্ষতি হবে না। কিন্তু, ১০টি ছোট বিমান প্রবল হাওয়ার দাপটে জায়গা থেকে সরে গিয়ে অন্য বিমান বা টার্মিনালে গিয়ে ধাক্কা মারতে পারে। এর জেরে সব কিছুরই ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঝড়ের দাপটের কথা মাথায় রেখে এয়ার ইন্ডিয়ার তিনটি ছোট এটিআর বিমান, ইন্ডিগোর চারটি এটিআর বিমান এবং স্পাইসজেটের তিনটি কিউ ৪০০ বিমানকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অ্যালায়েন্সের তিনটি বিমানকে রাঁচী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার কলকাতায় সব ধরনের উড়ানের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন যাত্রী উড়ান বন্ধ। তবে দিনে প্রায় ১০টি করে পণ্যবাহী বিমান ওঠানামা করছে। এ ছাড়াও রয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমান ও উদ্ধারকারী বিমান। আপাতত সেগুলিও ওঠানামা করবে না। বিমানবন্দরের আবহাওয়া দফতরের প্রধান জি সি দেবনাথ মঙ্গলবার বলেন, “এই ঝড় ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে বিমানবন্দরের উপরে আছড়ে পড়তে পারে। এই অবস্থায় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা বড় বিমানগুলিকেও সুরক্ষিত রাখাতে বলা হয়েছে।”
কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, পরিষেবা দেওয়ার জন্য সিঁড়ি, ছোট গাড়ির মতো অনেক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি থাকে। সেগুলিকে ভাল করে কোনও কিছুর সঙ্গে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে এরোব্রিজ দিয়ে যাত্রীরা বিমান থেকে টার্মিনালে যাতায়াত করেন, সেগুলো প্রবল হাওয়ায় ভেঙে যেতে পারে। তাই মাটির সঙ্গে এরোব্রিজ আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন টার্মিনালের ছাদ পর্যবেক্ষণ করে যেখানে যেখানে জোড় রয়েছে, সেই জায়গা মজবুত করা হচ্ছে।