দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া সেই গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
পিড়াকাটা বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন স্বপ্না হালদার (রায়)। স্বামী প্রদীপ রায়ও ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। বেশ কিছু দিন হল অবসর নিয়েছেন। সেই দম্পতির গাড়ি দুর্ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। বাবা-মার দগ্ধ শরীর শনাক্ত করতে যান খড়্গপুর গ্রামীণ চাঙ্গুয়াস হাসপাতালের চিকিৎসক রোশনি রায়। দম্পতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে শোকস্তব্ধ মেদিনীপুর শহরের মিত্র কম্পাউন্ড।
সোমবার বিকেলে শালবনির পিড়াকাটা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রদীপ। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনিই পিড়াকাটা থেকে ভাদুতলার মাঝে বরিশালে জঙ্গলে রাস্তা দিয়ে যখন গাড়িটি মেদিনীপুরের দিকে আসছে, তখন বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টে। রাজ্য সড়কের উপর আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে। ওই অবস্থায় কিছু দূর এগিয়ে থেমে যায় গাড়িটি। রাস্তার পাশে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়িটি দেখে আতঙ্ক ছড়ায় পথচারীদের মধ্যে। বাসের যাত্রীদেরও বেশ কয়েক জন আহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। কিন্তু তত ক্ষণে গাড়িটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর পর গাড়ির মধ্যে দগ্ধ দুটো শরীর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিছু ক্ষণ পর মৃত দু’জনের পরিচয় জানা যায়। খবর পাঠানো হয় মৃত দম্পতির পরিবারকে। মৃতদের মধ্যে প্রদীপের বয়স ৬২ বছর। স্বপ্নার বয়স ৫৫ বছর। দুটি দেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন মৃত দম্পতির মেয়ে রোশনি। বাবা-মায়ের দেহ শনাক্ত করার কিছু ক্ষণের মধ্যে জ্ঞান হারান পেশায় চিকিৎসক। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
অন্য দিকে, ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা হল, কী ভাবে গাড়িটিতে আগুন লাগল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy