বাস চলাচলে ছাড় দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যেতে পারে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ বাস মালিকই এখনই পথে বাস নামাতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে বিপুল লোকসান হবে। যাত্রী ভাড়া থেকে জ্বালানির খরচটুকুও উঠবে না। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, ‘‘বাস মালিকদের কেউই বাস চালাতে রাজি হচ্ছেন না। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে বিপুল লোকসান হবে।’’ বেলদার বাসিন্দা তথা বাস মালিক সংগঠনের নেতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাত্রও বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নিয়ম মেনে বাস চালানো সম্ভব নয়।’’ জেলায় কত বাস চলতে পারে? সদুত্তর এড়িয়ে জেলা পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, ‘‘বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলা যেতে পারে। সরকারি নির্দেশিকার বিষয়টি বাস মালিক সংগঠনকে জানানো হয়েছে।’’
ঘাটাল মহকুমায় বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়া, কলকাতা-সহ দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হবে। ক্ষীরপাই শহরে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার টার্মিনাস থেকে বাস চলবে। তবে স্থানীয় রুটের বাস সেভাবে চলবে না। ঘাটাল মহকুমা বাস মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক বাসের রাস্তায় নামার মতো পরিস্থিতি নেই। ডিজেলের দামও বেড়েছে। তাই সব বাস একসঙ্গে নামবে না। মহকুমা বাস মালিক সংগঠনের তরফে প্রভাত পান বলেন, “আজ থেকে দুরপাল্লার বাস চালু হবে। স্থানীয় রুটের বাসগুলি পর্যায়ক্রমে চলাচল শুরু করবে।”
ঝাড়গ্রামেও ছবিটা প্রায় এক। বাস মালিক সংগঠনের বক্তব্য, ৫০ শতাংশ তো দূরের কথা, যে হারে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়েও বাস চালানো মুশকিল। ঝাড়গ্রাম জেলা বাস ওনার্স ওয়েললফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ তিওয়ারি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। তাই কেউ বাস চালাতে চাইছে না।’’
বেসরকারি বাস নামা নিয়ে সংশয় থাকলেও দুই জেলাতেই আজ থেকে কিছু সরকারি বাস চলার কথা। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এসবিএসটিসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোদালা কিরণ কুমার বলেন, ‘‘আগে যে রুটে যেরকম বাস চলত, এখন কয়েকদিন সেরকম বাসই চলবে। তারপরে যাত্রীদের চাহিদা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy