Advertisement
০২ মে ২০২৪
Drown

স্কুলের পাশে পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু! সাঁতার জানার পরও কী ভাবে অঘটন, প্রশ্ন

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম শুভজিৎ দত্ত। চন্দ্রকোনার রামজীবনপুর পুরসভার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত সে। থাকত স্কুলের হস্টেলে। সো

drown

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৮
Share: Save:

স্কুলের পাশে একটি পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। আর এ নিয়ে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রামজীবনপুর এলাকায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁরা জানতেনই যে ওই ছাত্র কারও সঙ্গে পুকুরে গিয়েছিলেন কি না। অন্য দিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। তাদের দাবি, ওই ছাত্র সাঁতার জানত। তা হলে কী ভাবে জলে ডুবে মারা যায় সে?

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম শুভজিৎ দত্ত। চন্দ্রকোনার রামজীবনপুর পুরসভার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত সে। থাকত স্কুলের হস্টেলে। সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রের পরিবারের কাছে খবর যায় যে, পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। তড়িঘড়ি স্কুলে যায় মৃত ছাত্রের পরিবার। চন্দ্রকোনার রানিগঞ্জের বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া। শুভজিতের বাবা শান্তিনাথ দত্তের অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলে সাঁতার জানত। ও গ্রামের ছেলে। স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে কী ভাবে পুকুরে গেল ও? কী ভাবেই বা জলে ডুবে মৃত্যু হল?’’ তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গৌতম দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি কী ভাবে ঘটল আমি জানি না। বাইরে ছিলাম। খবর পেয়েই এসেছি।’’ তিনি জানান, ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

অন্য দিকে, মৃত ছাত্রের পরিবার তথা বেশ কয়েক জন অভিভাবক অভিযোগ, বেসরকারি স্কুলের পরিকাঠামো এবং নজরদারির অভাব রয়েছে। এক জন ছাত্র কী ভাবে বাইরে বেরিয়ে গেল, তার তদন্ত প্রয়োজন। অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE