Advertisement
E-Paper

কার্তিক মহারাজকে নিয়ে প্রশ্নের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন ‘সাক্ষী’! নিয়ে যাওয়া হল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

আদালত কার্তিক মহারাজের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। ২ জুলাই অর্থাৎ, আগামী বুধবারই ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ২০:০৩
Kartik Maharaj

কার্তিক মহারাজ। —ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর ‘সাক্ষী’ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ! মঙ্গলবার চানক এলাকার আশ্রম থেকে ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, মহিলার রক্তচাপ ‘অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।’

মঙ্গলবার থানায় হাজিরা এড়িয়েছেন পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কার্তিক মহারাজ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সোমবার নবগ্রাম থানার পুলিশ বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অফিসে গিয়ে হাজিরার নোটিস দিয়ে এসেছিল। তাতে বলা হয়, কার্তিক মহারাজ ওরফে প্রদীপ্তানন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ থানায় তাঁকে আসতে বলা হয়। কিন্তু হাজিরা দেননি মহারাজ। তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের জন্য।

অন্য দিকে, যে মহিলা কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁর দাবি অনুযায়ী তাঁর গর্ভপাতের জন্য স্কুলের এক সহায়িকা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর নাম-ধাম জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই অনুযায়ী, তদন্তের প্রয়োজনে মঙ্গলবার চানক ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রমে যায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা।

অন্য দিকে, আদালত কার্তিক মহারাজের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। ২ জুলাই অর্থাৎ, আগামী বুধবারই ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কার্তিক মহারাজের হয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। রাজ্যের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।’’

অভিযোগকারিণীর দাবি অনুযায়ী, তাঁকে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। ২০১৩ সালে তাঁকে নবগ্রাম থানা এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ। তাঁর চাকরি হয়। আবাসিকা হিসাবে একটি ঘরও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই নাকি এক রাতে আচমকাই হাজির হয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে তা মেনে নিতে হয় তাঁকে। তার পর থেকে বেশ কয়েক বার তাঁকে ধর্ষণ করা হয় এবংতিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়েছে।

Kartik Maharaj Nabagram police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy