Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Nadia Murder Case

বচসার পর মাকে কুপিয়ে খুন! নদিয়ায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, মানসিক ভারসাম্যহীন বলছে পরিবার

নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

নদিয়ায় মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।

নদিয়ায় মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভীমপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৫
Share: Save:

মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পুত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে পুলিশের দাবি, আগেই তাঁকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সেই কারণেই কাজ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জানিয়েছেন আত্মীয়েরা। সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনাটি নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা যমুনা বিশ্বাস (৬২)। তাঁর পুত্র সুকান্ত বিশ্বাস দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে দাবি পরিবারের। বহরমপুর এবং কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। অভিযোগ, রবিবার রাতে খাবার নিয়ে মায়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তার পরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে খুন করেন অভিযুক্ত।

মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ রাতের খাওয়া এবং বাইরে বেরোনো নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় অভিযুক্তের। ক্রমে বচসার ঝাঁজ বাড়ছিল। আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাকে আক্রমণ করেন অভিযুক্ত। একের পর এক কোপ মারেন। আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধা লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের বাকি সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমেছে ওই পরিবারে। রাত থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) সঞ্জয় নীত কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে আগেই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতে অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

অভিযুক্তের বাবা সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে আমার ছেলে মাথার অসুখে ভুগছিল। বহরমপুর এবং কলকাতার অনেক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছে। উপকার হয়নি। হঠাৎ এমন একটা কাণ্ড ঘটাবে, আমরা ভাবতে পারিনি।’’ এক প্রতিবেশীর দাবি, ‘‘মাথার সমস্যা থাকলেও মায়ের সঙ্গে ওর সম্পর্ক ভালই ছিল। খাওয়া নিয়ে কোনও গন্ডগোল চলছিল, হঠাৎ গোঙানির শব্দ শুনতে পাই। ছুটে এসে দেখি এই কাণ্ড। ওকে জেলে দেওয়ার আগে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Nadia Murder Case Crime News arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE