গত বেশ কয়েক দিন ধরেই অনলাইনে অর্ডার করা ল্যাপটপ এবং দামি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটছিল নদিয়ার হরিণঘাটা এলাকায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এ বার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এ রকম দু’টি ঘটনার কিনারা করেছেন তদন্তকারীরা। অন্য ঘটনাগুলিরও তদন্ত চলছে।
জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম সঞ্জিত প্রসাদ, অঙ্কিতকুমার সিংহ এবং মহম্মদ সিরাজ। ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার হরিণঘাটা এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই অনলাইন মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া একাধিক দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ক্রেতার হাতে পৌঁছোনোর আগেই চুরি হয়ে যাচ্ছিল। হরিণঘাটা থানায় এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। শেষমেশ তিন দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে। একাধিক দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, পৃথক একটি চুরির ঘটনায় আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়ায় সোনা ও রুপোর গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে হরিণঘাটার মোহনপুরের পাঁচপোতা এলাকার বাসিন্দা মহসিন মণ্ডলের সন্ধান পায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয় মহসিনকে। পাশাপাশি, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি রুপোর চেন এবং ২০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মহসিন বেলঘরিয়ার ওই চুরির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। চুরির বেশ কিছু গহনা আগেই বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। বাকি গহনা রেখেছিলেন নিজের বাড়িতে। কার কাছে চুরির গহনা বিক্রি করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সিদ্ধার্থ ধাপলা বলেন, ‘‘দু’টি চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’