দীক্ষাগুরুর মেয়েকে অপহরণ করে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে শিষ্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার আগে অভিযুক্তকে রাতভর আটকে রেখেছিলেন ‘গুরু’র পরিবারের সদস্যেরা। মারধরের পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পর পুলিশ উদ্ধার করেছে ওই ‘অপহৃতা’কেও। নদিয়ার তেহট্ট এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন তেরো আগে তেহট্টের এক যুবতী নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ করে পরিবার। তাঁর খোঁজ চলছিল। সন্দেহ করা হচ্ছিল এক জনকে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সেই অভিযুক্তকে আটকে রাখেন ‘অপহৃতা’র পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ মহিলাকে ছেলে কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁকে অপহরণ করে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাঁর নাম মনিকা রায়। বয়স ৪৫ বছর। বেতাইয়ের উলুপাড়ার বাসিন্দা ১২ দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারে স্বামী ছাড়াও নাবালক পুত্র রয়েছে তাঁর। মনিকার খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জনৈক শ্যাম মণ্ডলের সঙ্গে এক জায়গায় মনিকাকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ঘটনাক্রমে জানা যায়, ‘অপহৃতা’র বাবা ভঞ্জন রায়ের পরিচিত ওই শ্যাম। পেশায় দীক্ষাগুরু ভঞ্জন শ্যামকে দীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই ভঞ্জনই অভিযোগ করেন, তাঁর কন্যাকে অপহরণ করে পাচার করেছেন শিষ্য। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামকে আমি আমার শিষ্য বানিয়েছিলাম। আর ও আমার মেয়েকে পাচার করেছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”
আরও পড়ুন:
যদিও ধৃত শ্যাম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ওর (মনিকা) কিচ্ছু করিনি। কোথাও নিয়ে যাইনি ওকে। তবে ফোনে কথা হয়েছিল। আমি বলেছি, ওর বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছে। ও যেন ফিরে আসে। ও ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে।” যদিও মনিকা কেন তাঁকে ফোন করলেন কিংবা তাঁর সঙ্গে মনিকার আলাপ কী ভাবে, তা বলেননি ওই যুবক। পুলিশ ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পাশাপাশিই তেহট্ট থানা ও কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ‘অপহৃতা’ মনিকাকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর।