Advertisement
E-Paper

নানা প্রকল্পের বকেয়া টাকা খরচে জোর

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রকম বৈঠক প্রতি মাসেই হয়। তবে মার্চ মাস আসন্ন। তাই বিভিন্ন প্রকল্পে যে সব টাকা রয়েছে সেগুলি দ্রুত খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৫
Share
Save

বিভিন্ন প্রকল্পের পড়ে থাকা টাকা মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বহরমপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

এ দিন সকালে সেখানে জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে ডেকেছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তাঁর নেতৃত্বে সেখানে বৈঠক হয়েছে। সেখানে জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, উন্নয়নের কাজ তরান্বিত করতে প্রতি মাসে এমন বৈঠক হয়। মার্চ মাসের আগে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রকম বৈঠক প্রতি মাসেই হয়। তবে মার্চ মাস আসন্ন। তাই বিভিন্ন প্রকল্পে যে সব টাকা রয়েছে সেগুলি দ্রুত খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সুত্রের খবর, এর আগে গত জানুয়ারি মাসেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব পি উল্গানাথান মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এসেছিলেন। সেদিন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে তাঁরা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই তাঁরা জেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এবং পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের অর্থ খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল এই সব প্রকল্পের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা জেলায় পড়ে রয়ে‌ছে।

সে সব টাকা কেন সেই টাকা খরচ করতে পারেনি সেই প্রশ্ন তাঁরা তুলেছিলেন। তবে সে দিন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তারা সেই টাকা দ্রুত খরচ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৪৯৬ কোটি টাকা এসেছে। গত ১০ জানুয়ারি পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর বৈঠকের সময় পর্যন্ত খরচ হয়েছিল ২৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছিল। এই কদিনে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ।

পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের ১৫৪ কোটি টাকা জেলায় এসেছে। মন্ত্রী বৈঠকের সময় পর্যন্ত জেলায় খরচ হয়েছিল ৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৫১ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫৬ শতাংশ। অন্য প্রকল্পের বকেয়া কাজও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Berhampore

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}