Advertisement
E-Paper

‘কাটমানি না পেয়ে নালিশ’

যা শুনে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এক কর্মাধ্যক্ষ শুনিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাটমানির ভাগ মনোমত না হলেই এজরাত এমন অভিযোগ তোলে। এটাই ওর স্বভাব।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০১:১৯

দলেরই নিয়ন্ত্রণে থাকা ফরাক্কার এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই ফরাক্কা ব্লক সভাপতি এজারত আলি। অভিযোগটা দুর্নীতির।

যা শুনে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এক কর্মাধ্যক্ষ শুনিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাটমানির ভাগ মনোমত না হলেই এজরাত এমন অভিযোগ তোলে। এটাই ওর স্বভাব।’’

এই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরের ‘ক্ষতবিক্ষত’ অবস্থাটা। এমনই মনে করছেন তৃণমূলের এক জেলা নেতা। বলছেন, ‘‘ভোটের পরে দলটায় এত ছিদ্র দেখা দিয়েছে যে কোনটা ছেড়ে কোনটা সামলাব বুঝতে পারি না!’’ এর ফলে যে দলের মুখ পুড়ছে মেনে নিচ্ছেন তা-ও।

এ দিন এজরাত লিখিত ভাবে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। এজারতের আভিযোগ, ‘‘ফরাক্কার আদিবাসী প্রভাবিত বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অফিসের জনাকয়েক কর্মী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’’ এই ঘটনায় ফের স্পষ্ট হয়ে পড়ল, গোষ্ঠী বিবাদে তৃণমূলের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা।

অভিযুক্ত ওই মহিলা প্রধান উজ্জ্বলা মণ্ডলের কথা, ‘‘শুনেছি ব্লক সভাপতি বিডিওকে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিডিও এখনও কিছু জানাননি। তৃণমূল থেকে নির্বাচিত আমরা। এজারত আলি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। কাজেই প্রশাসনের কাছে এ অভিযোগ জমা দেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে তার কথা বলা উচিত ছিল।’’

এজারত পাল্টা বলছেন, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দলের তিন সঞ্চালক আমার কাছে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করেন। প্রধান-সহ পঞ্চায়েত কর্তারা পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত ছাড়াই গোপনে টেন্ডারের নামে নিজেদের মদতপুষ্ট ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। তাই বিডিও’কে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

গবাদি পশুর ঘর বানানো থেকে নলকূপ বসানো— অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে এজরাতের দাবি। তিনি বলছেন, “দলের মধ্যে যারা দুর্নীতি করছে তাদের জন্যই তো দলের এমন বদনাম হচ্ছে। তাই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। ”

বাহাদুরপুরের পঞ্চায়েত প্রধান উজ্জ্বলা মণ্ডল অবশ্য বলছেন, “কোনও দুর্নীতি হয়নি। ব্লক সভাপতি নিজে যাকে কাজ দিতে চাইছিলেন। তা হতে দিইনি। তাতেই এই অভিযোগ! এর পরেও বলতে হবে কে দুনীর্তিপরায়ণ!’’

পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বাবলু ঘোষও বলছেন, “বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাটমানি পেতেই এমন অভিযোগ তোলা এজরাতের স্বভাব।’’ তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেননি বিডিও কার্তিক চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

Corruption TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy