নিজস্ব চিত্র।
করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায়, বিধি-নিষেধের পাট কার্যত চুকেই গিয়েছিল। হাতেগোনা দু’এক জন ছাড়া, মাস্ক পরা কাউকে রাস্তাঘাটে দেখাও যাচ্ছিল না। বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ ফের শুরু হওয়ায় এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি ফের শুরু হতে চলেছে। গৌড়বঙ্গের তিন জেলা—মালদহ ও দুই দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতা কর্মসূচিতে ফের জোর দেওয়ায় উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলাগুলির প্রশাসন। বিশেষ করে, মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা-সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা মাইকিংয়ের মাধ্যমে ফের শুরু করতে চলেছে তাঁরা।
বিভিন্ন দেশে করোনা ফের চোখ রাঙাতে শুরু করায় গত দু’দিন ধরে মালদহে বেশ কিছু মানুষ আবার মাস্ক পরতে শুরু করেছেন। এ দিকে, সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরও ফের সচেতনতা কর্মসূচিতে জোর দিতে চলেছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) বৈভব চৌধুরী বলেন, ‘‘বাড়ির বাইরে বেরোলে মানুষ যাতে মাস্ক পরেন এবং ভিড় এড়িয়ে চলেন সে ব্যাপারে বাসিন্দাদের সচেতন করতে গ্রামে-গ্রামে মাইকে প্রচার করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিওদের।’’ তিনি জানান, হাট ও বাজারগুলিতে মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলেন সে ব্যাপারে মালদহ ‘মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স’কেও কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক বলেন, ‘‘মাস্ক পরা ও ভিড় এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আমরা সচেতনতা কর্মসূচি শীঘ্রই শুরু করছি।’’
উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন করে এখনও পর্যন্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়নি। তবে প্রস্তুতু চলছে। অভিযোগ, জেলা জুড়ে কাউকেই মাস্ক পরতে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় বাসিন্দাদের উপচে পড়া ভিড়ও দেখা যাচ্ছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল-সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালেও রোগী ও তাঁদের পরিবারের বেশির ভাগ লোকেরা মাস্ক পরছেন না বলে অভিযোগ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মা বলেন, ‘‘করোনা-বিধি সম্পর্কে বাসিন্দারা সচেতন রয়েছেন। তবুও আমরা সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি।’’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাস্ক পরে বেরোনো থেকে সচেতনতার প্রচার ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে তৈরি জেলা প্রশাসন। তবে এখনও ওই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। শুক্রবার জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা তৈরি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্বের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষা থেকে বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy