ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি চা বাগানের পাশে ছবির মতো পর্যটক আবাস। সেগুন, কদম, লালি-বকুল গাছের ভিড়। সেখান থেকে ভেসে আসছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। পর্যটকদের পাতে রকমারি বাঙালি পদের ভিড়। তা-ও আবার পরিবেশন করা হচ্ছে মাটির থালায়, কলাপাতা উপরে। রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগেই বাংলা নববর্ষের আগে রাজ্যের ছ’টি পর্যটন আবাসে রকমারি খাবারের সম্ভার পরিবেশন চলছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের তিনটি পর্যটক আবাসও রয়েছে। শনিবার থেকে যেখানে এই বিশেষ পরিষেবা চালু হয়েছে। পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত চালু থাকবে। ‘ট্যুরিজম ডেভেপলমেন্ট কর্পোরেশন’-এর জেনারেল ম্যানেজার অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, ‘‘উদ্যোগে ভাল সাড়া মিলেছে।’’
উত্তরবঙ্গের মেটেলির তিলোত্তমা, মাদারিহাটের অরণ্য, শিলিগুড়ির মৈনাক পর্যটক আবাসে পয়লা বৈশাখের বিশেষ খাবারের সম্ভার মিলছে। দফতরের দাবি, এই খাবারের উপরে রয়েছে ছাড়ও। শুক্তো, বেগুনি, আমের আচার, ধোকা ইত্যাদি রকমারি মেনু রয়েছে সেখানে। কলকাতা থেকে ডুয়ার্সে সস্ত্রীক ঘুরতে এসেছিলেন প্রদীপ ভৌমিক। তিনি বললেন, ‘‘আমরা ছেলেবেলা থেকেই পয়লা বৈশাখ নিয়ে আবেগময় থাকি। ডুয়ার্সে এসে এ ধরনের বাঙালি খাবার স্বাদ পাবো, ভাবতে পারনি।
ময়নাগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষা বাচিক শিল্পী রাকা মুখোপাধ্যায়। মেয়ে ঋদ্ধিমা গবেষণা এবং কাজের সূত্রে নেদারল্যান্ডে থাকেন। মা-মেয়ে ঘুরতে এসেছিলেন মেটেলির তিলোত্তমায়। মাটির থালায় হরেক রকম খাবারের সম্ভার দেখে দৃশ্যত থ তাঁরা। ঋদ্ধিমা বললেন, ‘‘এখন প্রবাসে থাকি। বাঙালি খাবার পাওয়র সুযোগ খুব কম। এখানে সেই সুযোগ হয়ে গেল।’’ দিল্লি থেকে সপরিবারে ঘুরতে কৌশিক দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের আগে এ ধরনের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। এক কথায় অভিনব।’’
তিলোত্তমার ম্যানেজার দেবাশিস সরকার বলেছেন, ‘‘পর্যটন দফতরের নির্দেশ মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। সকলে খুবই উপভোগ করছেন।
এই ক’দিন এখানে বিভিন্ন লোকশিল্পীরা আসছেন। তাঁরা নাচ-গানের অনুষ্ঠান করছেন। এক কর্মী শঙ্কর সাহা বলেন, ‘‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে শামিল হতে পেরে আমাদেরও নতুন একটা অভিজ্ঞতা হল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)