এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের মানিকচক থানায়। অভিযোগের তির গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ওই নাবালিকা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকার বয়স ১৫ বছর। স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশে শৌচাগারে যাচ্ছিল মেয়ে। সেই সময় তাকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক যুবক। তার মুখ চেপে ধরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আমবাগানে কুঁড়েঘরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, এর পর একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে।
বার বার শারীরিক নির্যাতনের পর জ্ঞান হারায় নাবালিকা। ওই কুঁড়েঘরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকে সে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্থানীয় এক মহিলা নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে খবর দেন। এর পর মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
নির্যাতিতার মায়ের দাবি, মেয়েকে খোঁজাখুঁজির সময় তাঁরা জানতে পারেন যে, গ্রামের এক মহিলা অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়েকে দেখেছেন। ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে তাঁর দেখা মেলে। কিন্তু নাবালিকার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছুই বলেননি।
জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি সমস্ত ঘটনা তার বাবা-মাকে জানায় ধর্ষিতা। এর পর সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে মানিকচক থানার পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। তবে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলের সঙ্গে ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy