প্রতীকী ছবি।
দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলায়। বুধবার রাতে আরও পাঁচ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে সরকারি বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও জেলায় তিন জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। গত দু’দিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ৮ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এছাড়াও বুধবার জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ট্রুন্যাট পরীক্ষায় দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক চিকিৎসক সুশান্ত রায় বুধবার বিকেলে জানান, মঙ্গলবার রাতে যে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন ধূপগুড়ি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে এবং একজন নাগরাকাটার কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ছিলেন। তিনজনকেই এ দিন সকালে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বুধবার রাতে যাঁদের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের আক্রান্তদের মধ্যে ময়নাগুড়ির এক যুবক রয়েছেন। ওই যুবক সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে ফিরেছিলেন। এছাড়াও ধূপগুড়ির যে শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন। এরা দু’জনেই ধূপগুড়ির কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ছিলেন। নাগরাকাটা ব্লকের এক পরিযায়ী শ্রমিকেরও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনিও দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে বুধবার রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। এঁদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। এই হাসপাতালেরই সারি বিভাগে ৪ জন ভর্তি রয়েছেন।
করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সুশান্ত রায় জানান, বুধবার পর্যন্ত ৭০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। আরও ৩০টি শয্যা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি জেলায় সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সুশান্ত জানান, সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৪৬ করা হয়েছে। বাইরে থেকে আসা প্রায় ১৫০০ জন সেখানে রয়েছেন। আরও ১৩০০ জনকে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা যাবে। প্রয়োজন হলে সেখানে পরিকাঠামোও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন জেলা থেকে ২৪৮ জনের লালারস সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে এখন থেকে জলপাইগুড়ি জেলার করোনা পরীক্ষার কাজ করার জন্য অতিরিক্ত একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy